পুলিশ সদস্যের নাটকীয় ফাঁদে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

Bangladesh Policeসুরমা টাইমস ডেস্কঃ রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় রহিমুন আক্তার (২০) নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। উজিরপুরের একটি মহিলা মাদরাসা ফাজিলে অধ্যায়নরত ছিলেন তিনি। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন এক পুলিশ সদস্যের নাটকীয় ফাঁদে পড়ে রহিমুন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। নিহত রহিমুন আক্তার বরিশাল উজিরপুরের উত্তর বড়কোঠা এলাকার মোবারক আলী বেপারীর মেয়ে।
তিনি ৪৫৯ রমনা এলাকার একটি বাড়িতে তার বড় বোন মরিয়মের বাসায় থাকতেন। বুধবার রাতে ওই বাসায় রহিমুনকে রেখে ডাক্তারের কাছে যান তার বড় বোন। বাসায় এসে ডাকাডাকির পরও ঘরের দরজা না খোলায় তাদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশিদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে রহিমুনকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। রহিমুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মাসুম বিল্লাহ জানান, রহিমুন আক্তার ফাজিল পড়া অবস্থায় উজিরপুর এলাকার আশিকুর রহমান নামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং প্রায় এক বছর তাদের বিয়ে হয়। পুলিশের কনস্টেবল পদে রংপুরে কর্মরত আছে আশিকুর রহমান । এদিকে বিয়ের পরও আশিকুর রহিমুলকে তাদের বাড়িতে নেয়নি। গত শুক্রবার রহিমার সঙ্গে দেখা করতে এলে ঘটনাক্রমে জানতে পারে আশিকুরের আগে বিয়ে হয়েছে তার বাড়ীতে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এঘটনার পর রহিমুলের সঙ্গে আশিকুরের মনোমালিন্য হয়।
মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, শুক্রবার মনোমালিন্যের পর পরিবারকে দেখানোর জন্য নকল তালাকের কথা বলে রহিমুনের কাছ থেকে নাটকিয়ভাবে তালাকের কাগজ-পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেই আশিকুর। ঘটনাটি সাজানো নাটকের কথা বললেও এটি আসল ঘটনা ছিল বলে পরে জানতে পারে রহিমুন। ওই পুলিশ সদস্যের নাটকিয় ফাঁদে পড়েই তার বোন আত্মহত্যা করেছে বলেও অভিযোগ করেন মাসুম বিল্লাহ।
রমনা থানার এসআই শফিউল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।