ওসমানীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্য বিবাহ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: ওসমানীনগরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্য বিবাহ। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাদীপুর ইউপির দক্ষিণ কালনীচর গ্রামে এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে স্থানীয় রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ফারহানা বেগম (১৩) এর সাথে মালয়েশিয়া প্রবাসী একই গ্রামের মৃত জলকদর আলীর ছেলে আব্দুল আলী (৩৮) এর সাথে উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিবাহ ঠিক করা হয়। বর আব্দুল আলী প্রবাস থেকে তার নিজ বাড়িতে আসেন গত সোমবার দুপুরে। ফারহানার বয়স কম হওয়ায় তাকে বিয়ে দিলে এলাকার লোকজন বাধা দেয়ার ভয়ে কনে ফারহানাকে রবিবার রাতেই বরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ফারহানার পিতা আব্দুল লতিফ। মেয়ের বিয়েতে বর পক্ষকে কনের সাথে দেয়ার জন্য কনের পিতা ইতিমধ্যে ফার্নিচেয়ারসহ মালপত্রও কিনে ফেলেন। কিন্তু এই বাল্য বিবাহে বাধ সাধেন গ্রামের কিছু সচেতন মানুষ। বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে গ্রামের লোকজন স্থানীয় সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ওসমানীনগর থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে গত সোমবার সন্ধ্যায় সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রবের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করা হয়। সোমবার সন্ধ্যার পরই কনে ফারহানাকে বর আব্দুল আলীর বাড়ি থেকে ফারহানার পিতার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বাল্য বিবাহ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে মেয়ের প্রাপ্ত বয়স হলে তাকে সেই ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া হবে।