সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো চাপে নত হওয়ার মতো কিছু তিনি করেননি।
“স্পষ্ট বলে দিতে চাই, এমন কোনো অপরাধ করিনি যে আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা নত করতে হবে। এমন কোনো দুর্বলতা আমাদের নেই যে কেউ এসে বলবে আর শেখ হাসিনা মাথা নত করবে।”
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির রোববার গণভবনে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণের মাঝ পর্যায়ে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
ওই অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছিলেন। ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
ওই ভোটে নির্বাচিত নাছিরের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
“কেঁদে-কেটে, চালবাজি করে লাভ নেই। তাকে কেউ বিশ্বাস করে না। কে উনাকে ক্ষমতায় বসাবে? আমাদের ক্ষমতা থেকে হটাবে?”
নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার সময় যাদের ছবি তোলা হয়েছে, তাদের চেহারা চেনা যাচ্ছে না বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
“চেহারা চেনা যায় না, ঘটনা ঘটানোর জন্যই মনে হয় ছবি তোলা হয়েছে।”
আন্দোলন শিথিল করে বিএনপি নির্বাচনে আসার পর আবার সরে দাঁড়িয়ে নাটক করেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। “খালেদা জিয়া আন্দোলনের পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে নির্বাচন বর্জনের নাটক সৃষ্টি করলেন।”
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন বর্জন করেছে বলেও মন্তব্য করে শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া কি মানুষকে বোকা মনে করেন যে উনার ষড়যন্ত্র কেউ বুঝবে না।”
গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নাশকতা সৃষ্টির নির্দেশদাতা হিসেবে খালেদা জিয়ার বিচারে নিজের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তার বিচার না হলে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না।”
ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল তিন লাখের বেশি ভোট পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “মানুষ কি বিবেক বন্দি রেখে ভোট দেয়?”
আ জ ম নাছিরকে মেয়র নির্বাচিত করায় চট্টগ্রামবাসীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে নাছির তার স্ত্রী ও দু’সন্তানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুল তুলে দেন।