ভাবীকে নিয়ে দেবর উধাও : পুলিশের পরামর্শে দেবর ভাবীকে ৫০টি করে বেত্রাঘাত

coupleসুরমা টাইমস ডেস্কঃ দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে দেবর উধাও। এক সপ্তাহ পর উদ্ধার হলে পুলিশের পরামর্শে স্থানীয় দুইজন মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা দেবরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও দেবর ভাবীকে ৫০টি করে বেত্রাঘাত দিয়ে ভাবীকে গোসল করিয়ে পবিত্র করে স্বামীর ঘরে তুলে দেওয়া হয়। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ১১টায় বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নে শিয়ালিয়া গ্রামে।
ওই গৃহ বধুর স্বামী পনু ফকির জানান, আমার আপন মামাত ভাই গোড়া পদ্মা গ্রামের জামাল আমার স্ত্রীকে নিয়ে ২৩ এপ্রিল উধাও হয়ে যায়। অনেক খোজাখুজির পর ৩০ এপ্রিল বাগেরহাট সন্ধান পেয়ে শশুর বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুনসুর আহমেদের পরামর্শ নিয়ে শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামের বাড়ীতে সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইউপি সদস্য মোখলেচুর রহমান আকন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা অনৈতিক কাজের জন্য জামালকে ২০হাজার টাকা জরিমানাসহ ৫০টি করে বেত্রাঘাত এবং আমার স্ত্রীকে ৫০ বেত্রাঘাত ও দিয়ে গোসল করিয়ে পবিত্র করে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, একজন মহিলাকে তার দেবর ৮দিন বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষন করে। আইনের আশ্রয় না নিয়ে দুইজন মেম্বর বেত্রাঘাত ও ২০হাজার টাকা জরিমানা করেন। সমাজ ও আইনের চোখে অপরাধ। ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুনসুর আহমেদ জানান, বিষয়টি আমি জানি। তবে বিচারের সময় উপস্থিত ছিলাম না। একটি আমল যোগ্য অপরাধ আইনের আওতায় কেন আনা হলো না।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে আসেনি। বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিয়াজ হোসেন, বলেন, বিষয়টি আমি এখনই দেখতেছি। তবে এই ঘটনা আইনের আওতায় আনা উচিৎ ছিল।