পাঁচ সিটি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি : নাসিম
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম বলেছেন, পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। সেই শিক্ষা অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কঠোর পরিশ্রম করে এবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া বার বার ভুল করেন। ভুল থেকে কোনো শিক্ষা নেন না। তার শিক্ষা নেয়া উচিৎ। আমরা ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভুল করেছিলাম। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ১৪ দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঝাপিয়ে পড়েছিল। কঠোর পরিশ্রম করে বিজয়ও পেয়েছি।
তিনি বলেন, দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া, যা সব সময়ই হয়ে থাকে, এবারো হয়েছে, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির কোনো কর্মসূচি সফল করার ক্ষমতা আগেও ছিল না, এখনো নেই। আগামীতেও সেই ক্ষমতা হবে বলে আমার মনে হয় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির কোমরে কতটুকু বল আছে সেটা দেখার আগে আমরা দেখতে চাই ওদের কোমর কতটুকু সোজা আছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা শুনলে মানুষ ভয় পেয়ে যায়। ওদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি মানে হল পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে মারা। ওদের শান্তির সাথে মানুষের শান্তির মিল নাই।
নির্বাচন বিষয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগ ও তদন্তের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমাদের কুটনীতিক বন্ধুরা সব সময় কিছু রুটিন কথা বলন। তারা যে কথাগুলো বলেছেন তার মধ্যে বিএনিপর হঠাৎ সরে আসার বিষয়টাও আছে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়া মাঠে নামেনি ততক্ষণ কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিধিমালায় ছিল কোনো মোটরসাইকেল মহড়া হবে না, গাড়ির বহর হবে না। সেখানে খালেদা জিয়া গাড়ি বহর ব্যবহার করে দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করে বিধি ভেঙ্গেছেন। একটি শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় বিশৃঙ্খলা ঘটিয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ইলেকশন তো একটা যুদ্ধের মত। সেই লড়াইয়ে আপনারা টিকতে পারলেন না। একমাস ধরে প্রচার-প্রচারণা চালালেন। কিন্তু পরাজয় জেনে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য হঠাৎ বর্জন করলেন।
এসময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিরব বিপ্লব ঘটানোর কথা বলে ১২টার পর নিজেই বিপ্লব থেকে সরে আসলেন। এখন ১৯ সালের সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ অর্জনের জন্য কাজ করছি। সেই নির্বচনেও আমরা বিজয়ী হব।
তিন সিটিতে সকল বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এই সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় হয়েছে। সিটি নির্বাচন নিয়ে দেশব্যাপী যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল তা সফল হয়েছে।
১৪ দলের সভায় সভাপতিত্ব করেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মুজিবুল বাশার মাইজভান্ডারির। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদি দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রে আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল প্রমুখ।