নগরীর নর্দমায় স্কুলছাত্র, নদীতে বৃদ্ধের লাশ
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকাস্থ আব্দুল গফুর ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শৌচাগারের পাশে একটি ছড়া থেকে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিমানবন্দর থানা পুলিশ সোমবার সকালে জালালাবাদ এলাকায় স্কুল সংলগ্ন শৌচাগারের পাশের ছড়া থেকে বাবুল মিয়া(১২) নামের ওই ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার করে। বাবুল বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের সমছুল হকের পুত্র। বর্তমানে তারা সিলেট নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৫/১, আনিস ভিলার একটি কলোনীতে বসবাস করে। সে দর্শনদেউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল বাবুল নিখোঁজ হয়। এরপর এই ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় তার পিতা বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন। সোমবার সকালে জালালাবাদ আব্দুল গফুর স্কুলের পেছনে মালনীছড়ায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার এসি (সহকারী কমিশনার) শাহীন আহমদ ও ওসি গৌছুল হোসেনের নেতৃত্বে সকাল ১০টায় একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
জালালাবাদ থানার ওসি গৌছুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাঁতার না জানার কারণে ছড়ার পানিতে পড়ে ছেলেটি নিখোঁজ হয়েছিল বলে তার ধারণা। এরপরও তারা ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন।
প্র্রসঙ্গত, মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে গত ১০ মার্চ নিখোঁজ হয় নগরীর রায়নগরের বাসিন্দা ও নগরীর শাহমীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ। এরপর ১৪ মার্চ এসএমপির বিমান বন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর প্রায় দেড় মাস পর আবারও আরেক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হলো।
এদিকে সুরমা নদী থেকে সোমবার বেলা ১ টার দিকে সুরমা নদীর কাজিরবাজার খেয়াঘাট এলাকা থেকে মোছাদ্দেক আলী নামের বৃদ্ধের (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোছাদ্দেক আলী গোলাপগঞ্জ উপজেলার জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে নদীর পানিতে ওই বৃদ্ধের মরেদেহ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) গোলাপগঞ্জ এলাকা সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেন মোছাদ্দেক আলী। তাকে উদ্ধারে নদীতে ডুবুরিও নামানো হয়, কিন্তু পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই রাতে গোলাপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এরপর নিহতের ভাই, ছেলে-মেয়েরা এসে মরদেহ সনাক্ত করেছেন। তবে, মানসিক সমস্যার কারণে তিনি নদীতে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিহতের পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বলেন জানান ওসি।