সৌদি আরবের তায়েফে কমলগঞ্জের জমিরকে গলা কেটে হত্যা

কমলগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

Jomir F-Picবিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রমিককে হত্যার সংবাদে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত শ্রমিকের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের পূর্বভানুবিল গ্রামে। গত বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫ টায় সৌদি আরবের জিসাসে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সৌদিআরবে নিহত বাংলাদেশীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভানুবিল গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে মো: জমির মিয়া (৩৬) দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে সৌদিআরবের তয়েফের মাজরা (গার্ডেনে) কাজ করতেন। তিনি কাজ করে যে বেতন পেতেন তা দিয়ে স্ত্রী, দুই সন্তান ও মায়ের ভরন পোষন চলতো। জমির মিয়া কয়েক বার দেশে ছুটিতে আসেন। শোকে মাতম জমির মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী নিয়মিত ফোনে কথা বলতেন, বাড়ির খবরা খবর রাখতেন। সৌদি আরবে যে আরবীর কাজ করতেন সেই আরবী ও আরবীর ভাগিনার সাথে তাদের পারিবারিক বিরোধ ছিল বলে বিভিন্ন সময়ে ফোনে বলতেন। আরবীর পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই বুধবার আরবীর ভাগিনা ধারালো ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার স্বামী জমির মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করেছে। হত্যার পরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কূপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। সালমা বেগম আরও বলেন, সৌদি আরবে তাদের নিকটাত্মীয় ও স্বামীর সাথে থাকা লোকজন এসব বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন। বর্তমানে জমির মিয়ার লাশ তায়েফের ইকফাল শিশু হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তিনি স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমুলক বিচার এবং নিহতের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সৌদি আরবে জমির মিয়াকে হত্যা ঘটনায় বুধবার বিকাল থেকে পরিবারে কান্নার রুল পড়েছে। শোকে মাতম রয়েছে পুরো পরিবার। তার মা ও স্ত্রী বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। জমির মিয়ার ৫ বছর বয়সি যমজ দুটি সন্তান রয়েছে। এই সন্তানরা এখনও বুঝতে পারেনি তাদের পিতার মৃত্যুর সংবাদ। তাদের খাবার আর খেলাধূলার ষড়ঞ্জামাদি নিয়ে কখন তাদের পিতা আসবেন সে আকাঙ্খায় সময় পার করছে শিশুরা।