সিলেটে বৈধ রিকশা আটক ও হয়রানী বন্ধের দাবি রিকশা মালিক সমিতির

ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা বন্দের দাবি

Battery Banchodকয়েক মাস আগে সিলেটে সফর কালে নগরীর লামাবাজারে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা নিজ হাতে আটক করেছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তখন মন্ত্রী নিজেই জানতে চেয়েছিলেন- ‘ব্যাটারী চালিত রিকশার অনুমতি দেয় কারা?’ তখন কেউ ই কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই সময় মন্ত্রী নগরীর শেখঘাটে একটি ব্যাটারী চালিত রিকশার শো-রুমে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্টান বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

কিন্তু যোগাযোগমন্ত্রী সিলেট ছাড়ার পর কোনো অভিযান হয় নি। উল্টো আরও দিগুন ব্যাটারি চালিত রিকশা চলছে সিলেটের রাজপথে। এ অবস্থায় ব্যাটারী চালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা না করে পায়ে চালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুরু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও এসএমপি। বুধবার সিলেটে এ অভিযান শুরু হওয়ায় সিলেটের সাধারন রিকশা মালিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের সুরমা মার্কেট কার্যালয়ে এ নিয়ে সভা করেছে সিলেট জেলা অটোরিক্সা মালিক সমাজ কল্যান সমিতির নেতারা।
সভায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেটে ব্যাটারী চালিত রিকশা অবৈধভাবে চলাচল করছে। তাদের কোনো অনুমতি নেই। অথচ তারা সরকারের বিদ্যুৎ অপচয় করে রিকশা চালাচ্ছে। তারা বলেন, ব্যাটারী চালিত রিকশায় যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় সেটি অনেকটা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চার্জ দেওয়া হয়। কিছু দিন আগে নগরীর টেকনিক্যাল রোডে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চার্জ দেওয়ার সময় অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছিলো বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সম্প্রতি সেটি আবার প্রতি স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে নগরীর শিবগঞ্জ, কুমারপাড়া, বাগবাড়ি, মধু শহীদ, মদিনা মার্কেট, দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি পয়েন্টে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকার মাধ্যমে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চার্জ দেওয়া হচ্ছে। আর বিভিন্ন সমিতির নামে ব্যাটারী চালিত রিকশায় রং বেরংয়ের নাম্বার প্লেইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে সিলেট অটোরিক্সা মালিক সমাজ কল্যান সমিতির প্রচার সম্পাদক আব্দুল বারী গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে অনেক বৈধ রিকশা আটক করা হয়েছে। পরে টাকার বিনিময়ে কিছু রিকশা ছাড়া হয়েছে। এখনও দেড়’শ থেকে দু’শ টি রিকশা আটক রয়েছে। তিনি বলেন, সিলেট নগরীতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নাম্বার প্লেইট নিয়ে অনেক রিকশা চলছে। সেগুলো আটক করা হচ্ছে না। আর সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখার কর্মকর্তারা ব্যাটারী চালিত রিকশা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ কারনে এই শাখার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে, বৈঠকে বৈধ রিকশা আটক ও বিভিন্ন সময় হয়রানী বন্ধ করার দাবি জানান রিকশা মালিক নেতারা। বৈঠকে সিলেট জেলা রিকশা মালিক সমাজ কল্যান সমিতির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি