নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় দুঃসাহসিক চুরি
নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল খোয়া
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামে সরকারী চাকুরীজীবি আব্দুল আহাদ ছাদী’র বাসায় এক দূঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। গতকাল রবিবার শেষরাতে চোরের দল ওই বাসার পিছনের গ্রীল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়েছে। এ ব্যাপারে গৃহকর্তা নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগদিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া গত ক’য়েক দিনে শহরের বেশ ক’টি বাসায় গ্রীল ভেঙ্গে চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে চোর এবং ডাকাত আতংকে ভোগছেন শহর বাসী।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ পৌর শহরের রাজাবাদ গ্রামের সরকারী কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ ছাদী শনিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে কাজকর্ম শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্ত্রী ও কন্যারা বাসায় ছিলেন না। অসাবধানতা বশত ঘরের বাহিরে গ্রীল থাকায় জানালা বন্ধ করেন নি। ভোর ৫ টার দিকে ঝড়ো হাওয়ায় জানালার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ষ্টিলের আলমিরার ড্রয়ার খোলা। তাৎক্ষনিক ভাবে পাশের রুমে গিয়ে দেখেন তার ব্যবহৃত একটি এইচ.পি ল্যাপটপ নাই। এভাবে ঘরে তল্লাশী করে দেখা যায়, আলমিরায় রাখা নগদ ৩৫ হাজার টাকা, ৫/৬ ভড়ি ওজনের স্বর্ণলংকার, একটি মাইক্রো অভেন, ১টি নকিয়া মোবাইল সেট ও ১টি হারমোনিয়ামসহ ঘরের মুল্যমান কাপড় চোরের দল নিয়ে গেছে। নগদ টাকাসহ উল্লেখিত মালামালের মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ঘটনাটি জানাজানি হলে সকালে গ্রামের মুরুব্বীয়ান বাড়িতে ছুটে যান এবং চুরি হওয়া ঘটনাটি পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা চোরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে এসআই আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে অপর একটি সুত্রে জানাগেছে, ওই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার প্রায় ঘন্টা-দেড়েক পুর্বে রাজাবাদ জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে ওই এলাকায় ডাকাতি হবে খবরে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে থানার এএসআই আব্দুর রহিম ঘটনাস্থল ছুটে যান। এ সময় ওই লোকজন পুলিশকে জানান, ওই এলাকায় ডাকাতি হবে এমন খবর পাশ্ববর্তী কান্দিপাড়া ও কমলাপুর এলাকার ক’য়েক যুবক রাজাবাদ গ্রামের জনৈক যুবককে জানালে সে তার পিতাকে জানায়। তার পিতা পাশের বাড়ির একে আজাদ লেবুকে জানান। এভাবে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে রাত ১ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ১০/১২ জনের একদল লোক ওই রাস্তায় অবস্থান করছিল। পুলিশ যাওয়ার পর যে যার ঘরে ফিরে যায়। পুলিশও চলে আসে। এছাড়া ওই এলাকার নবীগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে একটি ভেরাটিজ দোকানে কেরামবোর্ড দিয়ে এবং দু’একটি বাড়িতে ভাড়ার বিনিময়ে জুয়া খেলার আড্ডা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী দাবী করেন স্থানীয় বিপদগামী যুবকদের সহযোগিতায় আন্ত জেলা বা উপজেলার দাগী ডাকাত বা চোরের দল এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অপর দিকে শনিবার গভীর রাতে শহরের ওসমানী রোডস্থ ডাঃ সফিকুর রহমানের বাসা চুরি সংঘটিত হয়েছে। একই রাতে শেরপুর রোডস্থ ধান সিড়িঁ আবাসিক এলাকার উৎফল দাশের বাসায় চোরের দল গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা কালে গৃহকর্তা টের পাওয়া চোরের দল পালিয়ে যায়। এর দু’ দিন পুর্বে শেরপুর রোডস্থ মাওঃ শুয়াইব আহমদের বাসায় চুরি সংঘটিত হয়েছে বলে সুত্রে জানাগেছে।