মাইক্রোবাসের জন্য প্রান হারালেন বালাগঞ্জের চালক বিষু
শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসেন ইমন, বালাগঞ্জঃ একটি নোয়া গাড়ীর জন্য প্রান হারিয়েছেন চালক বিশ্বজিৎ দাস বিষু। নিহত বিষু বালাগঞ্জ সদরস্থ নবীনগরের মন্টু দাসের ছেলে। দুর্বৃত্তরা কৌশলে গাড়ী ভাড়া করে নিয়ে বিষুকে খুন করে তার ব্যবহৃত নোয়া (NOAH)মাইক্রোবাসটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সোম বার ফজরের নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লীগন হবিগঞ্জের সায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেউন্দি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শে বিষুর লাশটি অজ্ঞাত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সায়েস্তাগঞ্জ থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। বিষুর লাশের ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম হবিগঞ্জ শাখায় লাশটি হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত অবস্থ্য়া লাশটি (দাহ না করে) সমাহিত করা হয়। সোমবার রাতে বালাগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তালুকদার সায়েস্তাগঞ্জ থানার একটি অজ্ঞাত লাশের ছবি ফেইসবুকে দেখতে পেয়ে নোয়া গাড়ীর মালিক শফিকুল ইসলাম আরক এবং স্থানীয় শ্রমিকদেরকে দেখালে তারা বিষুর লাশ শনাক্ত করেন। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিষুর লাশ বালাগঞ্জে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। জানা যায়, রবিবার বেলা বারটার দিকে বালাগঞ্জ বাজার থেকে নোয়া গাড়ীটি (সিলেট-ছ ১১-০৭২১) নিয়ে গোয়ালা বাজার থেকে ট্রিপ নিয়ে যায় বিষু। ঐ দিন রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সোমবার বালাগঞ্জ থানায় জিডি করেন নোয়া গাড়ীর মালিক শফিকুল ইসলাম আরক। এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বিষুকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বিষুর মা অনিতা রানী দাস। এক ভাই এক বোনের মধ্যে বিষু ছিল পরিবারের বড় সন্তান। বিষুর একমাত্র বোন লিমা রানী দাস বিলাপ করে বলেন কেন আমার ভাইকে খুন করা হল, আমার ভাই কি দোষ করেছিল। বিষুর বাবা মন্টু দাস এখন পুত্র শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার আর কোন অবলম্ভন রইল না।