গোপন ক্যামেরার বিষয়টি যেভাবে টের পান স্মৃতি ইরানি

srity irani-01872সুরমা টাইমস ডেস্কঃ স্বামীর সঙ্গে দুই দিনের ব্যক্তিগত অবকাশে ভারতের পর্যটন রাজ্য গোয়ার সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ মন্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি।
তার শখ জাগছিল কেনাকাটা করার। গোয়ার ছোট্ট শহর ক্যানডোলিমের জনপ্রিয় পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ফ্যাবইন্ডিয়ার একটি আউটলেটে যান তিনি। পোশাক পছন্দ করে শরীরের সঙ্গে কেমন দেখায় তা পরীক্ষা করতে ট্রায়াল রুমে যান। কিন্তু সেখানেই বাঁধে বিপত্তি। ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা দেখায় অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু কীভাবে তিনি ঠিক পান গোপন ক্যামেরা থাকার বিষয়টি তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
বিশেষ সূত্র জানায়, ইরানি সম্ভবত আয়নায় ক্যামেরা থাকার বিষয়টি প্রথম বুঝতে পারেন। পরে পেছনে ঘুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে দ্রুত ট্রায়াল রুম থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
বাইরে এসে বিপদ সংকেতের ঘণ্টা বাজান তিনি। পরে আউটলেটে থাকা সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তার সামনে হাজির হন। তাদেরকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখানোর দাবি জানান তিনি ও তার স্বামী। স্বামী জুবিন ইরানিকে স্থানীয় বিজেপির বিধায়ক মাইকেল লোবোকে তলব করার কথা বলেন তিনি। পরে মাইকেলই পুলিশ ডাকেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সত্যি সত্যিই মন্ত্রীর কাপড় পাল্টানোর দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল!
এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ একটি এজাহার (এফআইআর) দায়ের করেছে। কালাঙ্গুতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়ক মাইকেল লোবো মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পক্ষ থেকে কালাঙ্গুত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিএসপি নেলসন আলবাকুয়েরক জানান, মামলাটি ৩৫৪ সি ধারা (গুপ্তস্থান থেকে যৌনক্রিয়া দেখা) এবং ৫০৯ ধারায় (নারীর শালীনতা নষ্ট করা) তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরায় স্মৃতি ইরানির পোশাক পাল্টানোর দৃশ্য ধারণ করার ঘটনায় ফ্যাবইন্ডিয়া ওই আউটলেটের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্তিক কেশপ জানান, আজ শনিবার ফ্যাবইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গ্রেফতার হওয়া চার কর্মীর ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ক্যামেরাটি ট্রায়াল রুমের বাইরে উঁচু দেওয়ালের ভ্যানটিলেশনে স্থাপন করা হয়। ক্যামেরার লেন্স ছিল ট্রায়াল রুমের নিচের দিকে।
স্মৃতি ইরানি পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, এটি খুব খারাপ কাজ। এটি সবখানে ঘটছে। এভাবে ছবি তুলে লোকেরা নারীদের নিন্দিত করতে চায়। পুলিশকে ওই বক্তব্য দেওয়ার পরেই স্মৃতি ইরানি দ্রুত দোকানটি থেকে হোটেলে ফিরে যান।
তবে ফ্যাবইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা পুলিশকে জানান, চুরি বন্ধের জন্য ক্যামেরাটি বসানো হয়েছে। চারটি পোশাক হাতে নিয়ে অনেকেই একটি লুকিয়ে রেখে তিনটি পোশাক হাতে ট্রায়ালঘর থেকে বের হন। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।