লাসভেগাসে মর্মান্তিক সড়ক দর্ঘটনায় বাংলাদেশী রুহানের মৃত্যু : আহত আরো ৩ বাংলাদেশী
নিউইয়র্ক থেকে এনা: গত ২৮ মার্চ শনিবার দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে ক্যালিফোর্নিয়ার বারস্টো এলাকার হিক্সলিতে ৫৮ হাইওয়েতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী রুহানের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো ৩ জন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সান্সফ্রান্সিস্কোতে বসবাসরত ২৮ বছর বয়সী ইফতেখার আহমেদ রুমান (চালক) ও তার স্ত্রী ফারহানা আহমেদ নিপার (২৬) কাছে পেনসিলভেনিয়া থেকে তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ রুহান, রুহানের বন্ধু মেহেদী ইসলাম সীমান্ত (২২) বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন তারা লাসভেগাস যাওয়ার পথে ১৫ ফ্রিওয়ের কাছে বারস্টো এলাকায় হিক্সলিতে হাইওয়ে ৫ তে ড্রাইভ করছিলেন। পেছনের সিটে ছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ ও তার বন্ধু মেহেদী ইসলাম সীমান্ত। দুর্ঘটনায় গাড়ির পেছনে বসা দু’জনের একজন ইমতিয়াজ ছিটকে উইন্ডশিল ভেঙ্গে বের হয়ে যান এবং গাড়ি উল্টে ঘুরতে ঘুরতে বিধ্বস্ত হয়। এক সময় দরজা ভেঙ্গে গুরুতর আহত সীমান্ত রাস্তায় পড়ে যায়। সামনে বসা নিপা গাড়িতে আটকে পড়ে। সামনের দু’জনের সিটবেল্ট বাঁধা থাকলেও পেছনের দুইজনের বেল্ট বাঁধা ছিলো না। ছিটকে পড়া ইমতিয়াজকে সিএইচপি অফিসার ঘটনাস্থলে সিপিআর দেন ও পরে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে গুরুতরভাবে আহত সকলকে তাৎক্ষণিকভাবে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে কাছাকাছি হাসপাতালে নেয়া হয়। নিহত ইমতিয়াজের লাশ নেয়া হয় স্যানবারনার্দিনো করোনার অফিসে। ইফতেখার ও ফারহানাকে লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে মেহেদীকে এ্যারোহেড রিজিওনাল মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
সর্বশেষ জানা গেছে, চিকিৎসার পর ইফতেখারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফারহানার এ পর্যন্ত দুটো সার্জারি হয়েছে। মেহেদীকে ৩০ মার্চ প্রথম সার্জারি করা হয়েছে। আরো কয়েকটি সার্জারির প্রয়োজন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য মেহেদীর পিতা ফিলাডেলপিয়া কম্যুনিটির পরিচিত মুখ এবং একজন সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম। তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছেলের হাসপাতালে চলে গেছেন। তিনি তার সন্তানের জন্য সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। মেহেদী প্রি-মেড থার্ড ইয়ারের ছাত্র। সে গুয়েনেট মার্সি ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ছুটিতে সে বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়েছিলো।