সিলেটে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
সকল ভালো কাজের পিছনে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে -আন্তর্জাতিক ক্বারী আব্দুল হক
হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্বারী হাফিজ মাওলানা আব্দুল হক কুরআনের শিক্ষার্থীদের আল্লাহর প্রিয় পাত্র আখ্যা দিয়ে বলেছেন, শিক্ষকদের দুর্ব্যবহারের কারণে কোন শিক্ষার্থী যদি আল্লাহর দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ থেকে ঝড়ে পড়ে তাহলে এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাকের কাছে জবাবদিহিতাও করতে হবে। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকল ভালো কাজের পিছনে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের সেমিনার হলে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সিলেট বিভাগের উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ে কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগা জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ নেজামীর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামেয়া ক্বাসিমূল উলুম দরগা মাদরাসার মুহতামিম প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতি আবুল কালাম জাকারিয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিশেষ বৈশিষ্টমন্ডিত গ্রন্থ হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। কুরআন ছাড়া কোন আসমানী কিতাবকে কালামূল্লাহ বলা যাবে না। শুধু মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ পাকের কুদরতি জবান দিয়ে তিনি নিজে পাঠ করেছেন তাই পবিত্র কুরআন শরীফ হচ্ছে কালামূল্লাহ বা আল্লাহর কালাম। তিনি কুরআনুল করীমের একটি আয়াতে উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ পাক কুরআন নাজিল করেছেন আর এই কুরআন পাকের রক্ষণাবেক্ষণকারী আল্লাহ পাক নিজেই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন দরগা গেইটস্থ হোটেল ষ্টার পেসিফিকের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী ফখর উদ্দিন আলী আহমদ। ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সভাপতির বক্তব্যে দরগা মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ পবিত্র কুরআনকে সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আখ্যা দিয়ে বলেন, এই কুরআন সকল মানুষের ইহ কালীন মুক্তি ও পরকালীন নাজাতের একমাত্র অবলম্বন। তিনি স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। পাশাপাশি হোটেল ষ্টার পেসিফিক কুরআনুল করীমের প্রোগ্রামের জন্য তাদের হল ফ্রী বরাদ্দ দেয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আজম খান, হাফিজ হারিসুল ইসলাম, হাফিজ জামাল উদ্দিন, হাফিজ গোলাম রব্বানী, হাফিজ হিফজুর রহমান, হাফিজ ফরহাদ আহমদ, হাফিজ মামুনুর রশিদ, হাফিজ বদর উদ্দিন আল মাদানী, হাফিজ নুরুল ইসলাম, হাফিজ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগ থেকে ৬৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ী ২০ জনের মধ্যে নগদ অর্থ, সনদপত্র এবং ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি