নবীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২ শিশু সন্তানসহ গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যূ॥ স্বামী গ্রেফতার
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী নির্ভৃতপল্লী বড় ভাকৈর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২ শিশু সন্তানসহ এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যূু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। পুলিশ ঘঁনাস্থ থেকে লাশ ৩টি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে। এঘটনায় পুলিশ গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
জানাযায়-গতকাল রবিবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রুমেনা খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে মুসলিমা খাতুন (৭) ও ছেলে মুসা মিয়া (৫) এর গতকাল রবিবার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যূ হয়। গৃহবধুর লাশ বসতবাড়ির পুকুর পারে জারুল গাছের সাথে ঝুলন্ত এবং ২ শিশুর লাশ পুকুরের পানিতে পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,নবীগঞ্জ উপজেলার নির্ভৃতপল্লী বড় ভাকৈর গ্রামের বর্গাচাষী ফরিদ উদ্দিন ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির পুকুরে দুই সন্তানের লাশ ভাসতে দেখেন। এ ছাড়া বাড়ির একটি জারুল গাছে গলায় ওড়না দিয়ে পেছানো অবস্থায় গৃহবধু রুমেনা খাতুনের লাশ ঝুলতে দেখে । বাড়ির লোকজনের সহায়তা তিনি দুই সন্তানের লাশ পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করেন।
বিষয়টি নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ ৩টি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন ।এ বিষয়ে গৃহবধু রুমেনা খাতুনের পিতা মাসুক মিয়া জানান, মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে রুমেনা ও তার দুই সন্তানকে হত্যা করা হতে পারে। রুমেনার স্বামী ফরিদ উদ্দিনের দাবি, রুমেনা মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। রাতে সে ঘুমিয়ে পড়ার পর সন্তানদের হত্যা করে পুকুরে ফেলে নিজেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান,প্রাাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গৃহবধু নিহতের বিষয়টি রহস্যজন এই জন্য তার স্বামী ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্ততার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, লাশ ৩টি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সেই মোতাবেক ব্যবস্থ নেওয়া হবে।