যৌবনের ফেরিওয়ালা জাহানারা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বালুচরের আল ইসলাহ এলাকার আনার মিয়ার কোলনীর বহুল আলোচিত পতিতার দালাল জাহানারা বেগমের পতিতা ব্যবসা থেমে নেই। সে এতই বেপরোয়া যে, তাকে অনেকেই এখন ‘যৌবনের ফেরিওয়ালা’ বলছেন। কারণ, জাহানারার সঙ্গে একেকদিন একেকজন যৌনকর্মী থাকে। এদের নিয়ে জাহানারা সিলেটের নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌবনের ফেরিওয়ালা হয়েই বেপরোয়া ঘুরাফেরা করছে। ফাঁদ পেতে বহু পুরুষকে সে সর্বশান্ত করে চলেছে। শহরে যৌনকর্মী নিয়ে জাহানারার বেপরোয়া ঘুরাফেরা চলছে।
বালুচরের একাধিক সূত্র জানায়, জাহানারা একসময় নিজেই যৌনকর্মী ছিল। পরে সে বালুচরের আনার মিয়ার কলোনীর একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে শুরু করে বেপরোয়া পতিতা ব্যবসা। আর এই ব্যবসায় তাকে কিছু দালাল শ্রেনীর ধান্ধাবাজ লোকেরা তাকে গোপন শেল্টার দিয়ে আসছেন। বিনিময়ে সমাজের ভদ্রমুখোশবেশি এই সব লোকেরা জাহানারা বেগমকে ব্যবহার করছেন নানা অপকর্মের গুঁটি হিসেবে। মানুষকে হয়রানি করার কাজেও সমাজের ধান্ধাবাজ লোকেরা জাহানারাকে ব্যবহার করে আসছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহানারা মূলত কুমিল্লার বাসিন্দা। সিলেটে সে অবাদ যৌন ব্যবসায় লিপ্ত ছিল। সে এক সময় দক্ষিণ সুরমার রেলস্টেশনের সুন্দরের কলোনীতে থেকে পতিতা ব্যবসা করতো। ওই সময় সে নগরীর সুরমা মার্কেটের সামন থেকে খদ্দের নিয়ে সুন্দরের কোলনীতে নিয়ে যেতো। কতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে একবার সুরমা মার্কেটের সামন থেকে সহযোগী পতিতাসহ আটক করে। এ ঘটনায় ৭৭ ধারার প্রসিকিউশনে ( ১৩৪ /১৪) তাকে কতোয়ালি থানা পুলিশ কোর্টে চালান দেয়। এর আগে ২০১৩ সালে তাকে কতোয়ালি থানা পুলিশ হোটেল বিলাস থেকে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জাহানারা বেগম সিলেটের বালুচরের বাসাটিকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে। সে নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌনকর্মী সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যুবকদেরকে এসব যৌনকর্মী দেখিয়ে টাকা নিয়ে বাসায় আমন্ত্রণ জানায়। যুবকরা তার বাসায় যাওয়ার পর সেখানে ফাঁদে ফেলে তাদেরকে কাছ থেকে টাকা , মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তাকে সেখানে একটি চক্র সহযোগীতা করে আসছে।
করিম উল্লাহ পেপার পয়েন্টের বই বিক্রেতা খোকন মিয়া জানান, জাহানারা তাকে ছলেবলে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে তার সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এরপরও সে থেমে থাকেনি। এর কিছুদিন পরই সে তার কাছ থেকে ওই ছবির ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।