নিউইয়র্কে বাংলাদেশী পরিবারকে জিম্মি নয়; ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ
নিউইয়র্ক থেকে এনা: ঘটনাটি নেহাইত একটি ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা এখন নিউইয়র্কে হরহামেশাই ঘটছে। যে কারণেই স্থানীয় পুলিশ প্রিসেঙ্কট থেকে বার বার বলা হয় বাসায় অপরিচিত কেউ দরজায় নক করলে দরজা যেন না খোলা হয়। এভাবে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে দরজা খোলার পর অস্ত্রের মুখে সবই জিনিসপত্রই লুট করে নিয়ে গেছে এমন ঘটনা নিউইয়র্কে বহু ঘটেছে। এমই একটি ঘটনার জন্ম হয় গত ১৬ মার্চ সকাল ৮টায় (নিউইয়র্ক সময়) নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যামাইকার ১৬৮ স্টিট্রের ৮৫-২৮ ও ৮৫-২০ এ দুটো বাসায়। এই ডাকাতির ঘটনাকে বাংলাদেশের কোন কোন টিভি মিডিয়া ব্রেকিং নিউজ হিসাবে প্রচার করে। এবং প্রকৃত ঘটনা তুলে না ধরে বলা হয় সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশী একটি পরিবারকে জিম্মি করেছে। এই খবর মুহূর্তের মধ্যে পুরো কম্যুনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় এক ধরনের আতংক। জ্যামাইকা এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ঐ সব মিডিয়ার বিরুদ্ধে যারা প্রকৃত ঘটনা না জেনেই কমুনিটিতে আতংক সৃষ্টি করেছে।
১৬৮ স্ট্রিটে ৮৫-২০ বাসায় প্রথম ঘটনা ঘটে। ঐ বাসায় থাকেন বাংলাদেশী খাজা ওমর আলী। ঢাকার নবাবগঞ্জের খাজা ওমর আলী এনা প্রতিনিধিকে জানান, সকাল ৮টা সময় আমার স্ত্রী বাসা থেকে আমাকে ফোন করে। সে জানায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ আমাদের দরজায় নক করেছিলো। আমি দরজা খুলিনি। তারপর সে নিচে বেইসমেন্টে চলে গেল। সেখানে থাকে গায়ানিজ পরিবার। দরজায় নক করার সাথে সাথে গায়ানিজ মহিলা দরজা খুলে দেয় এবং ডাকাত তাদের বাসায় ঢুকে পড়েন। ঘটনা শুনেই আমার কাছে সন্দেহ হলে আমি আমার স্ত্রী লাইন কেটে দিয়ে সাথে সাথেই ৯/১১- এ কল করি। পুলিশ কল করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা ঘটনাস্থলে চলে আসে। এর মধ্যেই ডাকাত ১৬৮ স্ট্রিটের ৮৫-২০ বাসায় ডাকাতি শেষে একই স্ট্রিটের ৮৫-২৮ বাসায় একই স্টাইলে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ পুরো এলাকা ঘিয়ে ফেলে। রাস্তায় পুলিশের গাড়ি এবং আকাশে পুলিশের হেলিকপ্টার দেখা যায়। কিছুক্ষণ চেষ্টা চালানোর পর পুলিশ ২৫ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ক্যাপ্টেন মিলার এনাকে বলেন, আমরা ডাকাতকে প্রলোভন দেখিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি এবং কোন বাংলাদেশী পরিবারকেও জিম্মি করা হয়নি। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখনো গ্রেফতারকৃত ডাকাতের নাম প্রকাশ করেনি।