জাতির পিতা বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের অবিস্মরণীয় নেতা

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী

বক্তব্য রাখছেন স্পীকার শিরীন শারমির চৌধুরী। ছবি- এনা।
বক্তব্য রাখছেন স্পীকার শিরীন শারমির চৌধুরী। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: মহান জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মুজিব মানেই হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি বাংলাদেশের রূপকার এবং আমাদের জাতির পিতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের অবিস্মরণীয় নেতা হিসেবে বিশ্ববাসীর হৃদয়ে চির জাগরুক থাকবেন। তিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও শোষিত ও বঞ্চিত বাঙালি জাতির অধিকারের কথা বলেছেন। তাই ১৭ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি অবিস্মরণীয় দিন।
নিউইয়র্ক সফররত ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে এবং মিশন কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দিন হোসেন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ড. প্রদীপ কর, গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সভাপতি আব্দুল মুসাব্বির, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান, যুক্তরাষ্ট্র আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মোর্শেদা জামান, দেওয়ান বজলু, ও আমেরিকান বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অরিজিনের সভাপতি হাকিকুল ইসলাম খোকন, মিনা ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মমতাজ শাহনাজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিল্পী সবিতা দাসের নেতৃত্বে বহ্নিশিখা শিল্পীগোষ্ঠী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সঙ্গীত পরিবেশন শেষে স্পীকার শিশু শিল্পীদের হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণী পড়ে শুনান মিশন কর্মকর্তা বরুন দেব মিত্র, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আক্তারুজ্জামান, বিজন লাল দেব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতিরপিতার জন্মদিনে কেন জাতীয় শিশু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার সেই প্রসঙ্গে বলেন, বাঙালি জাতি যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জাতির পিতার আদর্শ ও মানবিক গুণাবলীর অপূর্ব সমন্বয় করে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। যাতে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শিশুরা জাতির পিতার মতো মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশসেবায় ব্রতী হতে পারে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, জাতির পিতার পথ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিগত পাঁচ বছর ধরে ছয় শতাংশের বেশী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বাংলাদেশে এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন আপোষহীন ছিলেন, তিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন।
ড. এ কে মোমেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে ৬-দফা দিয়েছিলেন। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে সকল নাগরিককে অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হবে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, মহাজোটের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
———-
এনা পিক- বক্তব্য রাখছেন স্পীকার শিরীন শারমির চৌধুরী। ছবি- এনা।