১লা এপ্রিল বাংলাদেশ অচল করার পরিকল্পনা : শতাধিক থানা সহ ২০০ স্পটে আক্রমণের সিদ্ধান্ত!

লন্ডনে তারেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ : নিষিদ্ধ হচ্ছে রাজনীতিও

Tareq Ziaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ নানা কারণে ব্রিটিশ সরকারের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন এক সময়ের হাওয়া ভবনের কর্ণধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। এবার হিসাব বহির্ভূতভাবে সন্দেহজনক অতিরিক্ত লেনদেন করার কারণে লন্ডনে অবস্থানকারী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলের ব্যাংক হিসাব জব্ধ করেছে ব্রিটিশ সরকার। এদিকে ব্রিটেনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সেখানে তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা আসছে।
এছাড়াও ইতোমধ্যেই তারেক জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেলে তা নবায়ন না করায় তিনি এখন পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় এখানে বসবাস করছেন। পক্ষান্তরে আগামী ১ এপ্রিল বাংলাদেশ অচল করার পরিকল্পনা নিয়ে লন্ডনে গোপন বৈঠকের খবর ফাঁস হয়েছে। সরকারের পতন ঘটাতে এদিন দেশের ১০০ থানা ও শতাধিক হাসপাতালে হামলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দেশের ২০০ স্পটে দলের বিশ্বস্ত সন্ত্রাসীরা এ অপারেশনে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। ইউকে থেকে প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম (বিডি প্যানোরামা) এসব সংবাদ প্রকাশ করেছে।
অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ সরকারের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। এবার তারেক রহমানের ব্যাংক একাউন্ট স্থগিত করেছে ইউকে এইচ এম রেভিনিউ। হিসাব বহির্ভূতভাবে সন্দেহজনক অতিরিক্ত লেনদেনের কারণেই ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ইউকে বিএনপির মিডিয়া সেলের কর্মী তাজউদ্দিন গত সোমবার ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের স্ট্রাটফোর্ড ব্রাঞ্চে তারেক জিয়ার একাউন্টে ৫ (পাঁচ) হাজার পাউন্ড ক্যাশ জমা দিতে গেলে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫ (পাঁচ) হাজার পাউন্ড জমা নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এই একাউন্টটি স্থগিত করে রেখেছে বলে জানিয়ে দেয়।
তদন্তের বরাত দিয়ে ওই অনলাইনটি জানায়, তারেক জিয়ার বাৎসরিক সেল্ফ এসেসমেন্টে তার আয়-ব্যায়ের যে হিসাব দেখিয়েছেন সেখানে হিসাববহির্ভূত অধিক লেনদেনের জন্য ইউকে এইচএম রেভিনিউ তারেকের ব্যাংক একাউন্ট স্থগিত করে দিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে তাজউদ্দীনের সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
অনলাইনটির অপর একটি খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে নতুন করে অস্থিরতা এবং নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তারেক রহমান লন্ডনে টানা ১৬ ঘণ্টা মিটিং করেছেন। সাবেক ছাত্রদল নেতা পারভেজ মল্লিকের বাসায় এ বৈঠকে মঙ্গলবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন জুবায়ের বাবু, মাহাদী আমিন, আতাউল্লাহ ফারুকসহ আরও ৫ জন। বাংলাদেশ সরকারকে নতুন করে ঝামেলায় ফেলার জন্য বাংলাদেশের অন্তত ১০০টি থানা এবং ১০০টি হাসপাতালে পেট্রোলবোমা এবং ককটেল আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় তারেক রহমান নাকি মন্তব্য করেন, পেট্রোলবোমা থেরাপি এখন আর কাজ করছে না। এবার যা করতে হবে সরকার পতন ছাড়া গতি নাই। এ অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছে অপারেশন এপ্রিল ফুল।
এপ্রিলের ১ তারিখে এ হামলার প্রাথমিক তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। অপারেশন এপ্রিলকে সফল করতে ৫ জনের একটি দল বাংলাদেশে যাবে এক সপ্তাহের মধ্যে। এজন্য ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকার একটি বাজেট পরিকল্পনা তৈরি করে বিএনপি ঘরানার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে বার্তা পৌঁছানো হয়েছে।
অপারেশন এপ্রিল ফুলের জন্য ২০০ স্পটে একসঙ্গে ২০০ কর্মী কাজ করবে। কোন ভাড়াটিয়া দিয়ে এই অপারেশন যেন না করা হয় সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। এজন্য ছাত্রদলের সভাপতি, যুবদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন থেকে বিশ্বস্ত কর্মীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এই ২০০ জনকে মূলত তারেক রহমান নিজে মনিটর করবেন। পুরো বৈঠকে ২০০টি স্পটসহ কারা কী দায়িত্বে থাকবে, কত টাকা বাজেট, টাকার যোগাড়- এসব বিষয়ে কথা হয় বলে জানা গেছে। সূত্র : জনকণ্ঠ