সমস্যা সমাধানে খালেদার ৩ শর্ত

Khaleda 13-03-2015সুরমা টাইমস ডেস্কঃ দেশের বর্তমান সঙ্কট বা সমস্যা সমাধানে সরকারকে তিন শর্ত বেঁধে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকেলে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তিন শর্ত ঘোষণা করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘অবৈধ স্বৈরাচারী শাসকেরা হত্যা ও উৎপীড়ন চালিয়ে বহু মায়ের কোল খালি করে চলেছে। প্রতিটি জনপদে আজ স্বজনহারা মানুষের কান্নার রোল। এই কান্না অত্যাচারীদের কানে পৌঁছায় না। কে কখন গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার হবে তা নিয়ে সকলে আতঙ্কিত। শত শত তরুণকে আটক করে গুলি ও নির্যাতনে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যেও সারা দেশে যারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আমি তাদেরকে সাধুবাদ দেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের যে সব বন্ধুরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং গণমাধ্যম ও সিভিল সমাজের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
খালেদা বলেন, ‘বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, গণতন্ত্রিক রাজনীতিতে হত্যা ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। তারপরও আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বর্তমান আন্দোলন চলাকালে সরকার বিভিন্ন হিংসাত্মক পন্থার আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের এই দমন-পীড়ন জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
বিরাজমান সমস্যা সমাধানে খালেদা জিয়া যে তিন শর্ত দিয়েছেন-
ক. জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সারাদেশে যে সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। পুলিশি ও যৌথবাহিনীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারবহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে।
খ. সভা-সমাবেশ-মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর আরোপিত সকল প্রকার বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
গ. সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়াতেই আমরা সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। আন্দোলনকে দ্রুত নিয়ে আসতে পারবো শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পথে।’