রাজমহল মিরাবাজার শাখার ম্যানেজারের কান্ড…
যার অভিযোগে তিন নারী ধরল তারই জিম্মায় ছাড়ল পুলিশ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ যার অভিযোগে তিন নারীকে ১লাখ টাকা লুটের দায়ে আটক করেছিল দক্ষিণ সুরমার কদমতলি ফাঁড়ি পুলিশ , আবার সেই ব্যক্তি কোনো অভিযোগ দায়ের না করায় তারই জিম্মায় ছেড়ে দিল পুলিশ। এমন ঘটনায় তোলপাড় চলছে। নগরীর মিরাবাজারে অভিজাত মিষ্টির দোকান রাজমহল এর ম্যানেজার সামছুল হক মানিক দক্ষিণ সুরমার কদমতলি পুলিশ ফাঁড়িতে তিন নারীর বিরুদ্ধে ক্যাশ থেকে ১লাখ টাকা লুটের মৌখিক অভিযোগ করেন । অভিযোগের তথ্যমতে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টায় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ওই তিনজন নারীকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হচ্ছে, সিলাম চকেরপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম (২৫), রেলওয়ে স্টেশনের ডগরপাড় এলাকার ছমির আলীর স্ত্রী রুবী বেগম (২৫) ও বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্ধা ময়নুল মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম (২০)। পরে লিখিত অভিযোগ দিবেন না বলে ম্যানেজার সামছুল হক মানিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে নারীদের তার জিম্মায় নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে রাজমহল মিরাবাজার শাখার ম্যানেজার সামছুল হক মানিক অভিযোগ করেন তিন নারী ক্রেতা সেজে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মিরাবাজারে অভিজাত মিষ্টির দোকান রাজমহলে ঢুকে মালামাল ক্রয় করার অভিনয় করে। এক পর্যায়ে রাজমহলের ম্যানেজারকে কৌশলে বোকা বানিয়ে ক্যাশ থেকে ১ লাখ টাকার বান্ডিল নিয়ে তিনজন কেটে পড়ে। পরবর্তীতে রাজমহলের ম্যানেজার সামছুল হক মানিক তিনজনের খোঁজে চারিদিকে সন্ধান করতে থাকেন। এরই মধ্যে তিনি ওই তিন নারীকে রেল স্টেশন এলাকায় দেখা গেছে বলে জানান। এদের আটক করার জন্য তিনি অনুরোধ করলে ফাঁড়ি পুলিশ ওই তিন নারীকে আটক করে। পরক্ষনে মানিক ওই তিন নারীকে আসামি করে মামলা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে আটককৃত নারীদের তারই জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এমন অভিনব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে সুত্র জানায় মহিলাদের সাথে ম্যানেজারের ব্যক্তিগত ক্ষোভ মেটাতে তাদের সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য এই কাজ করেছেন।
দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, ম্যানেজার সামছুল হক মানিক নাম ঠিকানাসহ তিন নারীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করলে তাদের আটক করা হয়। পরে লিখিত অভিযোগ না দিয়ে আটককৃতদের তার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার কথা বল্লে আমরা ছেড়ে দেই। অভিযোগ কারীর অধীনে কিভাবে ছাড়লেন এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই শফিকুল বলেন, আমার মনে হযেছে মানিকের সাথে ওই নারীদের কোনো সম্পর্ক রয়েছে। তাই ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়া ঘটনাস্থলও আমার ফাঁড়ি এলাকায় নয়। ঘটনাস্থলটিও কোতোয়ালি থানার অধিনে তাই ছেড়ে দিয়েছি বলে জানান তিনি।