আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপি-জামায়াত পন্থী আইনজীবিদের বিক্ষোভ
জেলা বারের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ রক্ষায় আইনজীবিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
হরতাল চলাকালে আদালত পাড়ায় মামলার শুনানী বন্ধ থাকা সিলেট জেলা বারের দীর্ঘদিনের রীতি বা রেওয়াজ থাকলেও আওয়ামীলীগ এই রেওয়াজ ভঙ্গ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী শাসনে গোটা জাতি আজ অতিষ্ঠ। বাকশালের কালো থাবা থেকে আদালত প্রাঙ্গনও রেহাই পাচ্ছে না। হরতাল চলাকালে মামলার শুনানী চালু রাখা হলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবেনা। দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। বাকশালী সরকার রাজনৈতিক সংকটকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে দেশকে একটি লাশের উপত্যকায় পরিনত করেছে। অবৈধ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কথিত বন্দুক যুদ্ধের নাটক মঞ্চস্থ করে ক্রসফায়ার চালিয়ে বিচারবহির্ভুত হত্যার মহোৎসব চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকার আওয়ামী অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা-ই দেশে আজকের এই গভীর সংকটের জন্য দায়ী। সকল দলের অংশ্রগ্রহনে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করতে একটি অর্থবহ সংলাপ আয়োজনে যখন গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ, ঠিক তখন আওয়ামীলীগ জাতির দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতেই পরিকল্পিতভাবে নাশকতা চালিয়ে এর দায় মুক্তিকামী জনতার উপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জাতীয় স্বার্থে চলমান হরতাল-অবরোধ চলাকালে মামলার শুনানী চালু রাখা শুধু বিচারপ্রার্থী নিরীহ জনতার মৌলিক অধিকার হরন করবে না বরং এই সিদ্ধান্ত আইন ও মানবাধিকার পরিপন্থি। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পরিহার করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় সাধারন আইনজীবিদের সাথে নিয়ে সিলেট জেলা বারের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ রক্ষায় কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।
গতকাল বুধবার হরতাল চলাকালে মামলার শুনানী চালু করার মাধ্যমে জেলা বারের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভঙ্গের আওয়ামী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মুল্যবোধে বিশ্বাসী আইনজীবিদের উদ্যোগে আদালত প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম সিলেট-এর সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আসুক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত পন্থী আইনজীবিদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট জিয়া উদ্দিন নাদের, এডভোকেট আলিম উদ্দিন, এডভোকেট আব্দুর রব, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট জুবায়ের আহমদ খান, এডভোকেট শামীম সিদ্দীকি, এডভোকেট শাহ আফজালুল ইসলাম, এডভোকেট নজিবুর রহমান নজিব, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, এডভোকেট ইকবাল আহমদ, এডভোকেট তাজ উদ্দিন মামুন, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমি, এডভোকেট কামাল হোসাইন, এডভোকেট তানভীর আক্তার খান, এডভোকেট জয়নুল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, এডভোকেট ইসরাইল আলী, এডভোকেট ফখরুজ্জামান, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট মহিউদ্দিন, এডভোকেট আব্দুল খালিক, এডভোকেট আজিম উদ্দিন, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, এডভোকেট আজহারুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট বাবুল বেগ ও এডভোকেট রবিউল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি