কিবরিয়া হত্যা মামলা : ক্রোকী পরোয়ানা জারি না হওয়ায় ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত

courtহবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিবরিয়া হত্যা মামলায় পলাতকদের বিরুদ্ধে ক্রোকী পরোয়ানা জারি না হওয়ায় ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় পলাতক আসামীদের মালামাল ক্রোকের পরোয়ানা জারি না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশিদ আহমেদ মিলন এ আদেশ দেন। আগামী ২৬ ফেব্র“য়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একই সময় মামলার আসামী মহিবুর রহমানের পিতার নাম চার্জশীটে ভুল দেয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুলের নিকট এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একই সাথে তাকে কারণ দর্শাতেও বলা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী আলমগীর ভূইয়া বাবুল।
তিনি জানান, মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল। এদিনে জামিনে থাকা শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি একেএম আব্দুল কাইয়ূমসহ ৮ জন আদালতে হাজির হন।
গত ২৫ জানুয়ারী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ জন আসামীর মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। হবিগঞ্জে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশিদ আহমেদ মিলনের আদালত এ আদেশ দেন।
পলাতক অন্য আসামীরা হচ্ছে- মাওলানা তাজ উদ্দিন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মোঃ বদরুল, মোঃ মহিবুর রহমান, মোঃ কাজল মিয়া, আব্দুল জলিল ও হাফেজ মাওলানা এয়াহিয়া। কিন্তু তাদের নিজ নিজ থানার কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনেও ক্রোকী পরোয়ানা জারি করতে পারেনি। এর প্রেক্ষিতে আদালত উপরোল্লিখিত আদেশ দেন। অপরদিকে দীর্ঘ তদন্তেও পলাতক আসামী মহিবুর রহমানের পিতার নাম চার্জশীটে ভুল থাকায় তার ব্যাখ্যা চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
এদিকে, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে আটক হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) জি কে গউছকে মৌলভীবাজার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বেলা ২টায় তাকে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি জেলার সোহেল আহমেদ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মামলার পূণঃতদন্ত শেষে দাখিলকৃত সম্পূরক চার্জশীটে জি কে গউছ, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনকে নতুনভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এর প্রেক্ষিতে জি কে গউছ ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।