গোয়াইনঘাটে হত্যা মামলার এজাহার বদলে দিয়েছে থানা পুলিশ
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ গোয়াইনঘাটে পুলিশ কর্তৃক হত্যা মামলার এজাহার বদলে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি নালিশা মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার হাদারপার উপরগ্রামের খোদেজা বেগম ২৮ জানুয়ারী বুধবার সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্রেট ৪র্থ আদালতে এ মামলা (নং-১২/২০১৫) দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপারস্থ উপরগ্রামের বয়বৃদ্ধ আইয়ুব আলীর সাথে ভু-সম্পত্তি নিয়ে একই গ্রামের খলিলুর রহমানদের বিরোধ চলে আসছিল। আইয়ুব আলীর একমাত্র পুত্র আবু তাহের(৪৫) বিরোধপূর্ন ভুমি দেখবাল ও রক্ষাবেক্ষন করে আসছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারী সকালে আবু তাহের বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।অনেক খোঁজাখুজি করে পরদিন ১৫ জানুয়ারী সকালে উপজেলার বুগুইলকান্দিস্থ কারানদীর পাড়ে তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন খোদেজা বেগম ১৮ জানুয়ারী গোয়াইনঘাট থানায় একটি এজহার দায়ের করেন। এজহারে তিনি তার ভাই আবুতাহের হত্যায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের খলিলুর রহমানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করেন। এজাহার পেয়ে থানা পুলিশ পরদিন খোদেজার বয়বৃদ্ধ পিতাকে থানায় ডেকে নেয় এবং খোদেজা বেগমের এজাহার পরিবর্তন করে ১৩ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জনকে সন্ধিগ্ধ করে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি এজহার তৈরী করে। পরে জোর করে চাপের মূখে তার বয়বৃদ্ধ পিতার টিপসহি নিয়ে একটি মামলা (নং-২৩(১)১৫) রুজু করে। মামলাটি বর্তমানে থানার এসআই ইউনুছ আলী তদন্ত করছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খোদেজা বেগমের এজাহার পেয়ে থানা পুলিশ ১৩ আসামীর মধ্যে ৮ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করে পুলিশ তাদের নাম বাদ দিয়ে মাত্র ৫ জনকে সন্ধিগ্ধ করে মামলটি রুজু করে। আদালতে দেয়া নালিশা মামলায় খোদেজা বেগম থানা পুলিশের এ কারচুপির প্রতিকার চেয়ে রুজু করা মামলায় বাদ পড়া অন্য ৮ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে তদন্তের আবেদন করেছেন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই এজাহার বদলের অভিযোগ সম্পূর্ন অস্বীকার করে বলেন নাম বাদ দেয়াতে পুলিশের কোন স্বার্থ নেই। নিহতের পিতার দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মামলা নেয়া হয়েছে। এজাহারের বাইরে কেউ জড়িত থাকলে তদন্তে তা দেখা হবে বলে জানান তিনি।