কোন পজিশনে আছে নবীগঞ্জের লোগাঁও গ্রামের জনপদ..?

বন্দুুকের পর গতকাল রামদা উদ্বার

bari--1নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোগাঁও গ্রামের সাধারণ লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও এক অজানা ভীতি। দুই প্রভাবশালী পরিবারের দ্বন্দে অশান্ত হয়ে উঠেছে কায়স্থগ্রাম লোগাঁও গ্রামের জনপদ। কোটি টাকার বিলাস বহুল বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ঠ দ্বন্দ যেন বেড়েই চলেছে। একের পর এক নাটক তৈরি হচ্ছে এই গ্রামে। এসব দেখার যেন কেউ নেই..? গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং তারিখ সন্ধার পর হঠাৎ করে লোগাঁও গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজের পুত্র নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আমীন রাসেল একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা বোমা ফাটিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে ঘর দখল করে। তখন বাড়ীর কেয়ারটেকার জিতু মিয়া মেম্বার ও তার পরিবারের লোকজন বাদা দিলে তাদের উপর অর্তকিত ভাবে বন্দুক দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয় এবং গুলাগুলিতে ব্যবহৃত লাইসেন্সকৃত রাসেলের পিতার একটি বন্দুক জব্দ করে পুলিশ। মামলা দায়ের করা হলেও আলিশান বাড়িটির দখলে বহাল তবিয়তে রয়ে যায় রাসেল। এর পর গত ২৫ জানুয়ারী রবিবার গভীর রাতে রমজান আলী নামে এক যুবকের হাতে দু’নলা বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাসানোর নাটক তৈরি করে রাসেল নিজেই নাট্যকার বনে গেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এলাকায় শুরু হযেছে চুল ছেড়া বিশ্লেষন ।
এ ঘটনা ও মামলা দায়েরের ৪ দিন যেতেনা যেতেই একই গ্রামের স্থানীয় বিয়ানীবাজার থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বহিরাগত সন্ত্রাসী সন্দেহে স্থানীয় কিছূ লোকজন একটি মাইক্রোবাস আটক করলে গাড়ীতে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। এসময় তারা মাইক্রোবাস থেকে রামদা সহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশে খবর দিলে গোপলার বাজার তদন্ত্র কেন্দ্রের ইনচার্জ এস.আই আরিফ উল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রামদা সহ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে ফাড়িঁতে নিয়ে যান। এ সময় ফুরুক নামের এক ব্যক্তিকে গাড়িতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন উত্তম-মাধ্যম দেয় বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
এইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের পরিবারের মধ্যে একের পর এক সাজানো মামলা মোকদ্দমার ফলে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকার জনপদ। এ ব্যাপারে উর্ধ্বত্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মানুষ। এ ভাবে একের পর এক ঘটনায় যে কোন সময় খুন খারাপির ঘটনা ও সংগঠিত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। দুই প্রভাবশালী পরিবারের দ্বন্দে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। চোখের সামনে অনেক কিছু ঘটলেও ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।