চাঁদাবাজী কালে সিলেট কদমতলী থেকে ভুয়া সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মি আটক

SAMSUNG CAMERA PICTURESদক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে থেকে সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে এক ভূয়া সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী দূরন্ত প্রতারক পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। দক্ষিণ সুরমার পুলিশ ফাড়ির এএসআই মাজহারুল ইসলাম শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটায় সংঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নেওয়া ২ হাজার টাকাসহ আব্দুর রশিদ উরফে আব্দুর রহিম কে আটক করেন। আটককৃত রহিম কুমিল্লার জেলার ইদ্রীছ গাজীর ছেলে। বর্তমানে সে সিলেট নগরীর রায়নগর রাজবাড়ী এলাকার আকতার মিয়ার কলোনীতে বসবাস করছে। আটকৃত প্রতারক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক)র পদস্থ কর্মকর্তার পরিচয়ে বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনা করে টাকা আদায় করতো বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে সে বিয়ানীবাজার শেওলা এলাকার ঢেউনগর গ্রামের হাজী ফজলুল হক নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে তার কাছে ২২ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তার অপরাধ তিনি হামদর্দ এর ঔষধ কমিশন বিক্রি করতেন । মাস আগে হজে গেলে সে ব্যবসা তিনি ছেড়ে দেন, কিন্তু তবু রেহাই মিলেনি প্রতারকদেও খপ্পড় থেকে। নিরুপায় হয় ফজলুল হক ইতিপূর্বে তাদেরকে ৫ হাজার টাকাও দেন কিন্তু আবার ঐ প্রতারক চক্র আসকের নাম ভাঙ্গিয়ে তার কাছে আরো ২০ হাজার টাকা দাবী করে এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাতে তার কাছ থেকে দাবী করা টাকার নিতে আসে আসকের কর্মকর্তাদের হয়ে কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় কিছু সাংবাদিক উৎপেতে থাকেন কদমতলী এলাকায় সে সময় চাদার টাকা নিতে এল ঐ প্রতারক প্রথমে ২ হাজার টাকা তুলে দেন ফলুল হক কিন্তু আরো ২০ হাজার ৫ শত টাকা না হলে পত্রিকায় ছবি ছাপিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় প্রতারক রশিদ পরে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রতারক রশিদকে আটক করে তার কাছ থেকে চাঁদাবাজীর ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান জানান, প্রতারক আব্দুর রশিদ প্রতরনা ও চাঁদাবাজীর কথা স্বীকার করে বলেছে সে আসকের কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী রফিক ও সফিকের হয়ে কাজ করছে। তাকে আগামী কাল আদালতে প্রেরণ করা হবে তিনি জানান।