তাহিরপুর সীমান্তে ৮ লাখ টাকার চোরাই কয়লার চালান আটক

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ’র শ্যালকের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা দায়ের

চোরাই কয়লার দুটি স্তুপ গত ১৫দিন ধরে বিওপির অদুরে পড়ে থাকলেও কোন অদৃশ্য কারনে ক্যাম্প কমান্ডার সহ বিওপির সদস্যের নজর এড়িয়েছে ? এরকম প্রশ্নের উওর মিলছেনা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডারাগার্ড ব্যাটালিয়নের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিনা শুল্কে ভারতীয় চোরাই কয়লা নিয়ে আসা ও মজুদ করার অভিযোগ এনে বিজিবি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ’র শ্যালকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে শুক্রবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁও গ্রামের মৃত মন্নাফের ছেলে সিরাজের নামোল্ল্যেখ করে আরো ক’জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

বিজিবির সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিক্তিত্বে ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল অফিসারের নির্দেশে উপজেলার বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবির একটি টহল দল মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্য্যন্ত গত তিন দিনে উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ’র ছেলে পারুল খাঁ’র মজুদকৃত বিনা শুল্কে নিয়ে আসা ভারতীয় ৪০ মেট্রিকটন চোরাই কয়লার চালান চেয়ারম্যানের শ্যালক সিরাজের বাড়ির পার্শ্ব থেকে আটক করেছে। সীমান্তের মেইনপিলার ১১৯৬ এর এইট এস থেকে প্রায় ৩ হাজার গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে এই কয়লার চালানটি আটক করা হয়। এছাড়াও একই এলাকার পাটলাই নদীর ওপার থেকেও পৃথক অভিযানে ২০ টনের মত আরো একটি চোরাই কয়লার চালান আটক করা হয়। ৮ লাখ টাকা বর্তমান বাজার মুল্য দেখিয়ে আটককৃত কয়লাগুলো বৃহস্পতিবার জব্দ তালিকা করা শেষে বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক লোকজন জানান, বালিয়াঘাটা বিওপির লালঘাট, লাকমা, টেকেরাঘাট বিওপির প্রকল্পের স্কুলের পেছনে ,শহীদ মিনার ও কোয়ারীরপাড় চোরাই কয়লার ঘাট দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা এসব চোরাই কয়লা চেয়ারম্যান পুত্র পারুল তারই আপন মামা সিরাজের বাড়ির পার্শ্বে নির্ব্রিগ্নে মজুদ করে রাখে নৌ-পথে দেশের বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে। নৌ-পথে পুলিশী টহলের কারণে গত ১৫ দিনেরও অধিক সময় ধরে আটকে পড়ে থাকে ঐ কয়লা মামার বাড়ির পার্শ্বে। ইতিপুর্বে কয়লা চোরাচালান বাণিজ্যের মামলায় ৮ আসামীর ৪ জন গ্রেফতার হলেও চেয়ারম্যান আবুলের ভাতিজা হুমায়ুন সহ অন্য ৪ আসামী হাড়ির খবর ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে আত্বগোপনে রয়েছে। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল ও তার চোরাচালানী পুত্র পারুলের ভয়ে এলাকার লোকজন উল্টো মামলা হামলা এমনকি পুলিশী হয়রানীর ভয়ে মুখে কুলুপ এটেরেখেছেন একই সাথে আটককৃত কয়লা বিজিবি ক্যাম্পে সরিয়ে নিতে সহায়তাকারী একাধিক নৌ-শ্রমিককে পারুল মঙ্গলবার থেকেই পরোক্ষভাবে নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বালিয়াঘাট বিজিবির বিওপি থেকে পশ্চিমে প্রায় পৌণে এক কিলোমিটার অদুরে মামা সিরাজের বাড়ির পার্শ্বে ভাগ্নে পারুলের মজুদকৃত ও নদীর ওপারে একই দুরত্বে অপর আরো একটি মজুদকৃত চোরাই কয়লার স্তুপ গত ১৫দিন ধরে পড়ে থাকলেও কোন অদৃশ্য কারনে ক্যাম্প কমান্ডার সহ বিওপির সদস্যের নজর এড়িয়েছে এ রকম প্রশ্নের সদুক্তর মিলছেনা স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলে।
ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার দেলোয়ার হোসেন সিরাজের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিওপি থেকে কতটুকু দুরবর্তী স্থান থেকে ৮ লাখ টাকা মুল্যের এ যাবত কালে কয়লার বড়ধরণের চালানটি দুটি আটক করেছেন এরকমক প্রশ্নের উওর না দিয়ে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। অপারেশনাল অফিসারের নির্দেশের পরও কমপক্ষে ২ ঘন্টা মঙ্গলবার ঐ ক্যাম্প কমান্ডার সিরাজের বাড়ির পার্শ্বে মজুদকৃত চোরাই কয়লার স্তুপের পার্শ্বে যান এমনকি সেখানে গিয়েও প্রথমে বাংলা কয়লা বলে চোরাই কয়লা জব্দ না করেই বিওপিতে ফিরে আসার জন্যও তিনি না ফন্দিফিকির আটতে থাকেন এছাড়াও অপর চোরাই কয়লার চালানটি ছাড়িয়ে নিতে পুরনো এলসির কাগজপত্র নিয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে একটি চক্র দেখা করতে বিওপিতে এলেও ঐ চক্রের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে অপর কয়লার চালানটি তিনি মালিকবিহিন অবস্থায় জব্দ করেছেন বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন।