মেয়রের রুমে বসতে পারেননি লোদী, চেয়ারে সালেহ

Mayor
ফাইল ফটো

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেয়েও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়রের রুমে ঢুকতে পারেননি প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। কাউন্সিলরদের একাংশের বাধার মুখে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে। তবে সকাল থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবি করে মেয়রের চেয়ারে বসে আছেন প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদ। এনিয়ে সালেহ ও লোদী পক্ষের কাউন্সিলরদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে কয়েস লোদীসহ উপস্থিত কাউন্সিলররা বৈঠক করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- ভারপ্রাপ্ত মেয়রের পদ নিয়ে রবিবার সকাল থেকে নগরভবনে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল ১০টার মধ্যে প্যানেল মেয়র-২ এর সমর্থক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, আবদুর রকিব তুহিন, সাইফুল আমিন বাকের, এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, রোকসানা বেগম শাহনাজ, সালেহা কবীর শেপী, আমেনা বেগম রুমি ও দিবা রাণী দে মেয়রের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। সকাল ১০টার দিকে মেয়রের চেয়ারে এসে বসেন প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ।
সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের সময় প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী সমর্থক কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, তৌফিক বক্স লিপন ও রকিবুল ইসলাম ঝলক নগরভবনে এসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকেন। খবর পেয়ে সেখানে যান সালেহ সমর্থক রেজওয়ান, তুহিন ও শামীম। পৌণে ১১টায় নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে আসেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
সকাল ১১টার দিকে হাউজিং এস্টেট থেকে শতাধিক সমর্থক নিয়ে পায়ে হেঁটে মধুবন মার্কেটের সামনে আসেন প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। এসময় কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে কয়েস লোদীকে ৫ জন মুরব্বী নিয়ে নগরভবনে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।
সকাল ১১টার দিকে কয়েস লোদী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে ঢুকলে দেখা দেয় উত্তেজনা। ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ ও ফরহাদ চৌধুরী শামীম। একপর্যায়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ নিবৃত্ত হন।
পরে উপস্থিত সাংবাদিক ও কয়েস লোদীর সাথে আসা মুরব্বীদের বের করে দিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে উভয় পক্ষের কাউন্সিলররা।
সকাল সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউন্সিলরদের বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে কয়েস লোদীও উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মেয়রের চেয়ারে বসা রয়েছেন।