নির্বাচন নিয়ে সাত প্রস্তাব খালেদার

khaledaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় সংসদের নির্বাচন অবশ্যই একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া সাত দফায় খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধ করে দেওয়া সব সংবাদপত্র ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল খুলে দেওয়ার কথা বলেন।
সংকট সমাধান না হলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। তারা যে আচরণ করছে, তার ফল হবে ভয়াবহ। একই সঙ্গে তিনি চলমান রাজনীতি ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন্। খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, তার দল শান্তিপূর্ণ কমর্সূচি দিলেও সরকার তাতে বাধা দিচ্ছে। সরকার এখন যা করছে, তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। তিনি আগামী ৫ জানুয়ারি দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সব রাজবন্দীর মুক্তি, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়াসহসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটনেতা খালেদা জিয়া বলেন, দেশে আজ যে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে অবস্থার অবসান ঘটানো না গেলে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। এই সংকট উত্তরণে অনতিবিলম্বে একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ, ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে সরকার গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
এ লক্ষ্যে সরকারের উদ্দেশে সাত দফা প্রস্তাব রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন। উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হলো- জাতীয় সংসদের নির্বাচন অবশ্যই একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে। যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সকল পক্ষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সুযোগের সমতা নিশ্চিত হয়।
নির্বাচন ঘোষণার আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। যেন জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যায়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায় থেকে পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা যায়।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তব্যে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা যায়। সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী আইন ও বিধিমালার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায়। এবং ভোটার তালিকার ত্র“টি-বিচ্যুতি দূর করা সম্ভব হয়।নর্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর সম্মতিক্রমে গঠিত নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
নির্বাচনের উপযোগী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তারিখ ঘোষণার পরপরই বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে।নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতদুষ্ট ও বিতর্কিত হিসেবে চিহ্নিত সদস্যদের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রত্যাহার এবং কর্তব্যপালন থেকে বিরত রাখতে হবে।
সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে।বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধ করে দেওয়া সকল সংবাদপত্র ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল খুলে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানসহ আটক সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে।নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন খালেদা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান।
তিনি বলেন, আমাকে নাকি একেবারে মাইনাস করে দেবেন। যারা আগে মাইনাস করতে চেয়েছে, তারাই একসময় মাইনাস হয়ে গেছে। আমাকে মাইনাস করতে পারে একমাত্র জনগণ। সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অভিযুক্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, রাজনীতির ভাষা এখন কলুষিত। আপনারা যে ভাষায় কথা বলছেন, যেসব কাজ করছেন, তা ভবিষ্যতে ভালো হবে না। তাই বুঝে শুনে কথা বলবেন ও কাজ করবেন।
গাজীপুরে সমাবেশ করতে না দেওয়ায় সরকার ও প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে খালেদা বলেন, কোন কর্মসূচিই বিরোধীদলকে করতে দেওয়া হচ্ছে না।খালেদা বলেন, ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। র‌্যাব আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। একটি অংশ ভাড়াটিয়া খুনির মতো আচরণ করছে।এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের ওপর একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে। জাতীয় সরকার বিরোধী দলবিহীন হয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে কোনো বিরোধীদল অংশগ্রহণ করেনি।খালেদা বলেন, নতুন ও তরুণ ভোটাররা ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ ও সব বিরোধীদলের চাওয়া সত্ত্বেও সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি মানছে না।তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর এ নিয়ে ৩ বার সংবাদ সম্মেলনে আসলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রথমবার ১৫ জানুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সে সময় খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকারকে বেশিদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখা বিপজ্জনক হবে।
দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলনটি করেন সদ্য শেষ হওয়া বছরের ৪ ফ্রেব্র“য়ারি। এ সংবাদ সম্মেলন থেকে খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে ও পরে সারাদেশে নিহত নেতা-কর্মীদের একটি তালিকা তুলে ধরেন এবং অবিলম্বে সংলাপে বসতে সরকারকে আহ্বান জানান।
এর পর দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সংবাদ সম্মেলন করেননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে সভা-সমাবেশে ও ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অসংখ্যবার কথা বলেছেন তিনি। বছরের শেষ দিনটিতে এসে হঠাৎ করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সারাদেশের মানুষের মধ্যে একটি কৌতূহলের জন্ম দেন। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে জাতীয় সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা আরও ঘনীভূত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক প্রয়োজনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করে সরকারে এসে আলোচনার অঙ্গীকার করলেও এখন তা মানছে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।তিনি বলেন, তারা বলেছিল সাংবিধানিক প্রয়োজনে নাকি ৫ জানুযারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে হয়েছে। এবং খুব শিগগিরই আলাপ আলোচনার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তারপর একটি বছর পেরিয়ে গেছে। নিজেদের দেওয়া অঙ্গীকারও এখন আর আওয়ামী লীগ মানছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, রাষ্ট্রের মালিকানা আর জনগণের হাতে নেই। আওয়ামী লীগ যে কোনো প্রকাওে ক্ষমতা কুক্ষীগত করে রাখতে চায়।তারা ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে। জনগণের কল্যাণ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অভিযুক্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, রাজনীতির ভাষা এখন কলুষিত। আপনারা যে ভাষায় কথা বলছেন, যেসব কাজ করছেন, তা ভবিষ্যতে ভালো হবে না। তাই বুঝে শুনে কথা বলবেন ও কাজ করবেন।
তিনি বলেন, আমাকে নাকি একেবারে মাইনাস করে দেবেন। যারা আগে মাইনাস করতে চেয়েছে, তারাই একসময় মাইনাস হয়ে গেছে। আমাকে মাইনাস করতে পারে একমাত্র জনগণ। গাজীপুরে সমাবেশ করতে না দেওয়ায় সরকার ও প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে খালেদা বলেন, কোন কর্মসূচিই বিরোধীদলকে করতে দেওয়া হচ্ছে না।খালেদা বলেন, ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। ?াব আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। একটি অংশ ভাড়াটিয়া খুনির মতো আচরণ করছে।
এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে ?াবের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন।তনি বলেন, সরকার জনগণের ওপর একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে। জাতীয় সরকার বিরোধী দলবিহীন হয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে কোনো বিরোধীদল অংশগ্রহণ করেনি।খালেদা বলেন, নতুন ও তরুণ ভোটাররা ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে।তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ ও সব বিরোধীদলের চাওয়া সত্ত্বেও সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি মানছে না।এরপর তিনি বলেন, সরকার জনগণের ওপর একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে। জাতীয় সরকার বিরোধী দলবিহীন হয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে কোনো বিরোধীদল অংশগ্রহণ করেনি।
খালেদা বলেন, নতুন ও তরুণ ভোটাররা ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে।তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ ও সব বিরোধীদলের চাওয়া সত্ত্বেও সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি মানছে না।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এলেও তাতে সরকারের সাড়া না পেয়ে খালেদা ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন বছরের শুরুতেই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তিনি।তবে বিএনপির আন্দোলনের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, পাঁচ বছরের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না এবং পরবর্তী নির্বাচন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হবে।বিএনপি ইতোমধ্যে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে ঢাকায় জনসভার ঘোষণা দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা সেদিন রাজপথে বিএনপিকে মোকাবেলার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গণি, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, ড.আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, সারোয়ারী রহমান, খালেদা জিয়ার প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান সোহেল প্রমুখ।
জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মবিন, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পিপলস পার্টির (পিএল) চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম, ডেমোক্রেটি লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দীন একরাম প্রমুখ।