মেয়র গউসের পথে আরিফও ? দফায় দফায় পুলিশি অভিযান
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় পলাতক আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আত্মসমর্পণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তবে পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি আত্মসমর্পণের সুবিধা করতে পারছেন না। গতকাল রোববার হবিগঞ্জ শহরের একটি বাসায় অবস্থান করে স্থানীয় আদালতে লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। আদালতের আশপাশে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সতর্কবস্থানে থাকায় তিনি আত্মসমর্পণ করেনি বলে তার ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আরিফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সিলেট মহানগর পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। পরোয়ানা পাওয়ার পর থেকেই আরিফকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক অভিযানে গেছে পুলিশ। আরিফকে ধরার জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তার ঘনিষ্টজনদের মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে এগোচ্ছে। কিন্তু আরিফের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারছে না তারা। গত শুক্রবার ও গত শনিবার তাকে গ্রেপ্তারে নগরীর কয়েকটি স্থানে অভিযান চালালেও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। আরিফকে গ্রেপ্তার করতে নগরীর কুমারপাড়াস্থ তার বাসভবনে গোয়েন্দা নজরদারিও করা হচ্ছে। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কয়েকজন সদস্য পালাক্রমে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে। সিসিক সূত্র জানায়, কিবরিয়া হত্যা মামলায় প্রথম দফা সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর পর নগর ভবনে যাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। আত্মগোপনে থেকেই কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে সিসিকের বিভিন্ন জরুরি ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করেন আরিফ। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই একেবারেই গা ঢাকা দিয়েছেন আরিফ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উলাহ বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা পুলিশের হাতে এসেছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সিলেট শহরেই অভিযান চলছে। তিনি অবস্থান পরিবর্তন করছেন, তাই তাকে ধরা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে কিবরিয়া হত্যায় অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর রোববার হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশীদ আহমদ মিলনের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩য় দফা সম্পূরক চার্জশিট গৃহীত হয়। এ সময় সিলেট সিটি ও হবিগঞ্জ পৌরসভর মেয়রসহ মামলার পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়।