তারেক রহমানকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানে ধাওয়া করবে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানে ধাওয়া করবে বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সোমবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এমন হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ সাজিদুর রহমান বলেন, তারেক রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথাবর্তা বলে কুলেঙ্গারের পরিচয় দিয়েছে। অসুস্থ ও মস্তিষ্ক বিকৃত তারেক রহমান দীর্ষদিন ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেছে। সেখানে থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। এসব বক্তব্য তার মস্তিষ্ক মানসের পরিচয় ফুটে উঠেছে। লক্ষ লক্ষ প্রাবসী বাঙালিরা তার বক্তব্যের ধিক্কার জানাচ্ছে।
খুনি জিয়াউর রহমানের কুপুত্র তারেক রহমানের এই সব বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি কুলেঙ্গার তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। আমরা তারেক রহমানকে যেখানে পাবো, তাকে সেখানেই ধাওয়া করব এবং প্রতিরোধ করবো।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণেই জিয়া পরিবার রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র না হলে জিয়াউর রহমান সামন্য বেতনের সেনা অফিসার হিসেবে বিদায় নিতেন। তারেক রহমানের ‘মা’ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দূরে থাক, রাজনৈতিক নেত্রী হওয়ার সুযোগ পেতেন না বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ সাজিদুর রহমান।
জাতির কাছে তারেক রহমানকে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বানও জানিয়েছন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ওই নেতা। না হয় তার কুরুচি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে সমুচিত জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন সাজিদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগরের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৪৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের দ্যা অট্রিয়াম অডিটরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির আটদিনের অনুষ্ঠানমালার সপ্তম দিনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহহমান বলেন, ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলছি, শেখ মুজিব রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেন। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।’