মহানগর দর্জি (গার্মেন্টস) শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

দেশে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে : এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের

Sromik Kollan Photo-21-12-14বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বিশিষ্ট আইনজীবি ও সমাজসেবক সাবেক ছাত্রনেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে যতো দিন ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না ততো দিন এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইনসাফ ভিত্তিক সমাজই পারে শ্রমিকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চালক গার্মেন্টস শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। গার্মেন্টস শিল্পকে ভিনদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন কুটকৌশল অবলম্বন করছে। ঢাকার রানা প্লাজা ও তাজরিন গার্মেন্টের দুর্ঘটনা তারই একটি অংশ। স্বাধীনতার ৪৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের আশা-আকাংখার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। যে আশা নিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল তার ন্যুনতম সুবিধা পাচ্ছে না দেশের মানুষ। একটি অজানা আতংকের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছে। কিন্তু এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রার জন্য সকল শ্রমিক ভাইদেরকে নিয়ে এক যোগে কাজ করে যাই।
তিনি গত শনিবার শ্রমিক কল্যাণ ফেঢারেশনের দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শাখার সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জাহান আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগরীর সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রমিক নেতা মাওলানা সোহেল আহমদ, মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, কফিল উদ্দিন আলমগীর, উবায়দুল হক শাহীন, আক্কাস আলী, বদরুজ্জামান, এটিএম খসরুজ্জামান, হেলাল আহমদ, রুবেল আহমদ, মো: আলী মনসুর, সুমেল আহমদ, শওকত আহমদ, আব্দুল আহাদ, বুলবুল আহমদ, আমীন হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কোন গতানুগতিক সংগঠন নয়, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মীরা একজন আদর্শবাদী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তারা আল্লাহ ও রাসূল (সা:)-কে খুশী ও রাজী করার জন্য সমাজে ইসলামী শ্রমজীবি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সম্মেলনে ২০১৫-১৬ সালের দর্জি (গার্মেন্টস) শ্রমিক কল্যাণ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে মো: আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি মো: মিজানুর রহমান চৌধুরী, রুবেল আহমদ, আলী মনসুর, সুমেল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন, আব্দুল আহাদ, আব্দুস সাত্তার শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন বিপ্লব সহ ৪২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।বিজ্ঞপ্তি

সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত শনিবার রাতে আল-হামরা রেষ্টুরেন্টে সিলেট মহানগর দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর হানায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জামিল আহমাদ রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, কফিল উদ্দিন আলমগীর সহ মহানগর শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে তারা বলেন, শত শত দর্জি শ্রমিকরা সারাদিন কাজ করার পর রাত ৮ টায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করলে সরকারের কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা হঠাৎ করে সম্মেলনে হানা দেয়। নিরীহ শ্রমিকদের হাত থেকে তাদের খাবার কেড়ে নেয়, বিভিন্নভাবে হয়রানী ও লাঞ্চিত করতে থাকে। এতে তারা দেশহারা হয়ে পড়ে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশ এটিকে একটি গোপন বৈঠক বলে দাবী করছে, অথচ শত শত শ্রমিক মাইক বাজিয়ে, ব্যানার টাঙ্গিয়ে যে সম্মেলন করছে তা কিভাবে গোপন বৈঠক হয় তা বোধগম্য নয়। সম্মেলন থেকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক উবায়দুল হক শাহীন, দোকান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: বিন মামুন বুলবুল, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবু বকর সহ প্রায় ১১ জন নিরীহ শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়। অবিলম্বে তাদেরকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সিলেটের দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন সকল শ্রমিক জনতাকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আর এর ফলে তৈরী হওয়া যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য প্রশাসনই দায়ী থাকবে। বিজ্ঞপ্তি