শীতার্তদের পাশে স্বপ্ন ব্লাড ফাইটারস

OLYMPUS DIGITAL CAMERAসুরমা টাইমস ডেস্কঃ রাতে সিলেটের ল্যাম্প-পোষ্টের নিয়ন বাতির ফাঁকা রাস্তা অনেকের প্রিয়, কিন্তু সেই বাতির নিচেই শুয়ে থাকে কিছু মানুষ। সিলেটের অনেক বস্তিতে বসবাস করে কিছু নিরীহ মানুষ, যাদের সামর্থ্য নেই, যাদের মনে শৈতপ্রবাহের কনকনে ঠান্ডা শীতের কোন অনুভূতি জাগে না, নাহলে তারা কিভাবে থাকে কোন শীতের কাপড় ছাড়া ?
নাহ, আসল কথা হল তারা অসহায়। আর সেই সব অসহায় মানুষদের হাতে অন্তত একটি কম্বল বা শীতবস্ত্র তুলে দিতে (স্বপ্ন ব্লাড ফাইটার্স,সিলেট) সংগঠনের কিছু তরুন কাজ করছে। তারা সাহায্য চায় আপনাদেরও। এই সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে অনুরোধ শীতার্ত সেই মানুষ গুলোর পাশে দাড়ান। তাদের জন্য যেকোন সহায়তা যেমন টাকা, পুরাতন শীতের কাপড়, কিংবা একটি কম্বলই হোক, বিলিয়ে দিন শীতার্ত মানুষের কাছে।
শীতার্ত কারা তা নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। পথে আর বস্তিতে থাকে, এখানেই সব…। ছেড়া ময়লা কাপড়,কিংবা বস্তা মুড়ি দিয়ে রাস্তায় আর বস্তিতে পড়ে থাকে রাতের বেলা। মাঝে মধ্যে দু-একটা সাহায্যকারী সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী আসে,টাকা দিয়ে যায়। ভাগ্য একটু আধটু সহায় হলে শীতবস্ত্র ও পাওয়া যায় মাঝে মধ্যে। আবার কখনও আসে স্বার্থান্বেষীরা। মৃত্যু যাদের জন্য দিন রাত্রির মতই স্বাভাবিক…
কখনো পুলিশের ধাওয়ায়, কখনো গাড়ি চাপায়, কখনো ক্ষুধায় আবার মাঝে মাঝে খুব স্বাভাবিক
অসুখে অস্বাভাবিক মৃত্যু তাদের… এভাবেই বছরের পর বছর হাজার হাজার শীতার্ত মানুষ
মরছে, জ্বলছে, ভুগছে……
তাদের হিসেব আমাদের অজানাই থাকুক……! কিচ্ছু আসে যায় না এক দুজন শীতার্ত মানুষ মরে গেলে……মরল নাহয় শত শত, তাতেও আমাদের কি আসে যায়???????
যারা কোন সংগঠনের হয়ে শীতার্তদের জন্য কাজ করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা করছেন না তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, অর্থ,সময় কোনটাই দিতে না পারেন অন্তত পক্ষে এমন কাজ যারা করে তাদের উৎসাহিত করুন। আপনার একটা শুভ কামনাও আমাদের সামনে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। আর
যারা কাজ করতে আগ্রহী তারা এগিয়ে আসুন। কথা বলুন বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের সাথে। সাহায্য করুন অর্থ, সময়, শ্রম,মেধা দিয়ে। স্হান : লামাকাজি ,আমতৈল, গোবিন্দ গঞ্জ, কলাপাড়া, ঘাসীটুলা, ভার্থ খলা, (সিলেট)।