২৬ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় সিলেট উৎসব

indo bangla sylhetজালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা ও দক্ষিন কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশন-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ইন্দো-বাংলা সিলেট উৎসব। কলকাতার যোধপুরর্পাক হাইস্কুল মাঠে ২৬ ডিসেম্বর উৎসব শুরু হয়ে চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বাউল শাহ আব্দুল করিমকে উৎসর্গ করে ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ থীমের উপর ভিত্তি করে বৃহত্তর সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র প্রভৃতি উপস্থাপন করা হবে। এসব উপস্থাপনায় বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী বৃহত্তর সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।
২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রী আবুল মা’ল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্ভোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
উৎসবকে সামনে রেখে আগামী ২৫ ডিসেম্বর জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকার সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি এবং সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জগলুল পাশার নেতৃত্বে ৫০ সদস্যের সাংস্কৃতিক দল ও প্রায় আড়াইশ প্রতিনিধিদল কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে ।
অর্থমন্ত্রী ছাড়াও সাবেক উপদেষ্টা সি এম শফি সামি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার, রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ড. শাহলা খাতুন, সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার, পীর হাবিবুর রহমান, স্থপতি ও নির্মাতা শাকুর মজিদসহ প্রায় ৩০০ ব্যক্তি উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
সিলেটের মরমী সাহিত্য ও অর্থনীতি বিষয়ে পৃথক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, ড. ফরাস উদ্দিন, ড. আহমদ আল কবীর ।
উৎসবে সুজেয় শ্যামের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে সুবির নন্দি, আকরামুল ইসলাম, শাম্মি আখতার, শুভ্র দেব, সেলিম চৌধুরী, ফজলুল কবীর তুহীন, বিশ্বজিত রায়, সিলেট থেকে জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, লাভলি দেব, শামিম আহমেদ, মালতি পাল, লাভলি লষ্কর, প্রতীক এন্দো এবং সুনামগঞ্জ থেকে করিমপুত্র শাহ নূর জালাল, আব্দুর রহমান, সিরাজ মিয়া সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো হবে শাকুর মজিদ নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ভাটির পুরুষ- এর নির্বাচিত অংশ, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার চলচ্চিত্র বৈরাতী । এছাড়াও দ্বিতীয় রাতে শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত, জীবন ও দর্শন নিয়ে শাকুর মজিদের লেখা গীতি-নৃত্য-নাট্য মহাজনের নাও প্রদর্শন করবে নিলাঞ্জনা জুই এর পরিচালনায় সিলেটের নাট্যদল নৃত্য শৈলী ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আরতি ধর, হিমাংশু গোশ্বামী (লন্ডন), কলকাতার সুরমা দোহার, বেলা প্রধান, কমলিকা, রথিজিত, শিলচরের বিক্রমজিত, সুব্রত খাজাঞ্ছি , মোম্বাইর মধুপর্ণা । ধামাইল নাচ ও কয়েকটি ন্রিত্যালেখ্য পরিবেশন করবে কলকাতার শ্রীভুমি, রঞ্জিনী ও তাঁর দল, শিলচরের মধ্যশহর সংস্কৃতি পরিষদ । কৌতুক পরিবেশনে থাকবেন মিরাক্কেল চ্যাম্পিয়ান তপন দাশ, সুরঞ্জিত, কবিতা আবৃত্তি করবেন মধুমিতা গুপ্তা, প্রবীর চৌধুরী, সিলেটি ছড়া পাঠ করবেন লোকমান আহমেদ আপন। উৎসবে দুই বাংলার কীর্তিমান সিলেটিদের সম্মাননা দেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি