তাহিরপুর সীমান্তে ২চোরাচালানীকে ধরে নিয়েগেছে বিএসএফ
৬ লক্ষ টাকার মদ ও ২টন কয়লাসহ নৌকা জব্দ
কামাল হোসেন,তাহিরপুর: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে ২চোরাচালানীকে ধরে নিয়েগেছে বিএসএফ এবং অপরদিকে একই সময় তাহিরপুর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদ ও চোরাই কয়লা আটক করে। এছাড়া ও ৪ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় অফিসার চয়েজ মদ ও প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২টন ভারতীয় চোরাই কয়লাসহ নৌকা জব্দ করেছে বিজিবি। জানাযায়, তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারতীয় এলসির কয়লা চোরাইভাবে ঘুমাঘাট ও রানীগর এলাকা থেকে আনতে গেলে চোরাচালানী কাচাঁ মিয়া ও বুলু চাংমাকে আটক করে বিএসএফ। আটককৃত চোরাচালানীরা হলেন-উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মৃত কাঁচা মিয়ার ছেলে নবীকুল হোসেন(৪৫) ও কড়ইগড়া গ্রামের বুলু চাংমা (৫২)। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়,গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় লাউড়েরগড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে বারেকটিলা গ্রামের চোরাচালানী আব্দুল গফফার,তাজুত আলী,জজ মিয়া,বিল্লাল মিয়া,লাউড়েরগড় গ্রামের উফাজুল মিয়া, নুর মিয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক বারকি শ্রমিক ও চোরাচালানীরা ভারতের ঘুমাঘাট ও রানীগর এলাকা থেকে অবৈধভাবে নৌকা যোগে কয়লা পাচাঁরের সময় বিএসএফ ধাওয়া করে। এসময় বেশির ভাগ লোকজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও চোরাচালানী নবীকুল ও বুলু চাংমাকে ধরে ফেলে বিএসএফ। এছাড়া ভোররাতে একই সীমান্তের দক্ষিন মুকশেদপুর এলাকায় দিয়ে ভারত থেকে মদ পাচাঁরের সময় অভিযান চালিয়ে ১৮০এমএল ওজনের ২৮২বোতল অফিসার চয়েজ মদ জব্দ করেছে বিজিবি। যার মূল্য ৪লক্ষ ২৩হাজার টাকা। অন্যদিকে সকাল ৭টায় চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট গ্রামের চোরাচালানী নজরুল মিয়া,হরমুজ আলী,আব্দুল আলী,মজিদ মিয়া,
এহসান মিয়া,রহিছ মিয়া ও জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে ১১৯৬পিলার এলাকায় অবস্থিত বড়ঘাট,দুইত্তারঘাট ও মাঝেরঘাটসহ ৪টি চোরাইপথ দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচার করার সময় দেড়টন ও ভোররাতে নৌকাসহ আধাটন কয়লা জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক করেনি টহলের দায়িত্বে থাকা বিজিবি। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা। এদিকে চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালানী মোতালিব,আবু বক্কর,রহমত আলী,জামাত আলী,জুলহাস মিয়া ও সম্্রাট মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৩টন কয়লা পাচাঁর করে ওপেন যাদুকাটা নদীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রেন্টি গাছের নিচে মজুদ করা হলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এরআগে গত রোববার রাত সাড়ে ১২টায় লাউড়েরগড় সীমান্তের ১২০৩পিলার এলাকা দিয়ে যাদুকাটা নদী পথে শতাধিক বারকি নৌকা নিয়ে ভারতের শীলং জেলার ঘোমাঘাট থানার অন্তগত রানীকর ও গাড়িঘাট এলাকা থেকে কয়লা পাচাঁরের সময় ১৭টি ও গত ৭ ডিসেম্বর গভীররাতে একই ভাবে কয়লা পাচাঁরের সময় শতাধিক নৌকা বিএসএফ আটক করে। উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর রাতে যাদুকাটা নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে চোরাই কয়লা আনতে গেলে নৌকাসহ লাউড়েরগড় গ্রামের আবুবক্করের ছেলে কাদির মিয়া বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ফেরত আনা হয়। ভারত থেকে কয়লা পাচাঁরের সময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে লাউড়েরগড় গ্রামের আল সামাদের ছেলে উফাজুল মিয়া ও স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প ও সাংবাদিকের সোর্স ও লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ১শত টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে। এছাড়াও প্রতিফুঁট পাথর থেকে ১টাকা করে ক্যাম্পের নামে চাঁদা নিচ্ছে শাহিদাবাদ গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল্লা। ট্যাকেরঘাট সীমান্তের ১২০০ পিলার সংলগ্ন বুরুঙ্গাছড়া নামক এলাকা দিয়ে রজনী লাইন গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া ওরুপে মরা ছিদ্দিক(৬৫)মাটিকাটা গ্রামের দোলা মিয়া(৫০) ও রড়ছড়া গ্রামের আক্কল আলী(৬০) এর নেতৃত্বে প্রতি রাতেই আসছে শতশত বস্তা চোরই কয়লা এর এরজন্য গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া ওরুপে মরা ছিদ্দিক নিজেকে বিজিবির র্সোস লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে প্রতি বস্তা চোরাই কয়লায় নিচ্ছে ৬০ টাকা করে। এব্যপারে নাম না প্রকাশ না করার শর্তে তাহিরপুর সীমান্তের বিশ কিছি এলাকাবাসী জানায়, বিডিআর ও স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজদের সহযোগিতা ও পত্যক্ষ মদদে তাহিরপুর সীমান্ত মাদ, গাঁজা, চোরাই কয়লা সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য চোরাচালানের নিরাপদ রোড ও আস্তানা। যার কারনে এই সীমান্তে বাংলাদেশী লোক নির্যাতন ও লোক আটকের বিষয়টি নিত্য নৈমেতিক ব্যপার।চোরাচালনীএব্যাপারে সুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার গোলাম মহিউদ্দিন বলেন,আটককৃত চোরাচালানীদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে,চোরাচালান প্রতিরোধের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।