তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের ধাওয়া,
অবৈধ কয়লা ও নৌকাসহ শ্রমিক আটক সহ বাড়ছে বিভিন্ন দূর্ঘটনা
কামাল হোসেন,তাহিরপুর: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে দিয়ে চোরাই কয়লা আনতে গেলে চোরাচালানীদের ধাওয়া করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এসময় পালিয়ে আসা বারকি শ্রমিকদের মধ্যে বাদল মিয়া(২০) নামের একজনকে নৌকাসহ আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত শ্রমিক উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের অলিপুর বাগগাঁও গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। এঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় লাউড়েরগড় সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাই পথে লালঘাট গ্রামের নজরুল মিয়া,হরমুজ আলী,আব্দুল আলী ও আব্দুল হাই ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা পাচাঁর করে শুল্কস্টেশনে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে বিজিবি অভিযান চালিয়ে একটন কয়লা জব্দ করে। আর বাকি কয়লা ছেড়ে দেয়। কয়লা ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানায়,বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে দেড়শ গজ অভ্যন্তরে কোন লোক প্রবেশ নিষেধ থাকলেও চোরারালানীরা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের মদদে বীরদর্পে ভারত থেকে অবাধে কয়লা পাচাঁর করছে। পরবর্তীতে পাচাঁরকৃত কয়লা যাদুকাটা নদীর দুইতীরে মজুদ রেখে ইঞ্জিনের নৌকায় করে বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছে। সুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারের কড়া নজরদারির কারণে ক্ষনিকের জন্য চোরাচালান বন্ধ হলেও সম্প্রতি চোরাচালানীরা পুরো দমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরআগে গত রোববার রাত সাড়ে ১২টায় লাউড়েরগড় সীমান্তের ১২০৩পিলার এলাকা দিয়ে যাদুকাটা নদী পথে শতাধিক বারকি নৌকা নিয়ে ভারতের শীলং জেলার ঘোমাঘাট থানার অন্তগত রানীকর ও গাড়িঘাট এলাকা থেকে কয়লা পাচাঁরের সময় ১৭টি ও গত ৭ ডিসেম্বর গভীররাতে একই ভাবে কয়লা পাচাঁরের সময় শতাধিক নৌকা বিএসএফ আটক করে। ১৭ নভেম্বর রাতে যাদুকাটা নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে চোরাই কয়লা আনতে গেলে নৌকাসহ লাউড়েরগড় গ্রামের আবুবক্করের ছেলে কাদির মিয়া বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ফেরত আনা হয়। ভারত থেকে কয়লা পাচাঁরের সময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে লাউড়েরগড় গ্রামের আল সামাদের ছেলে উফাজুল মিয়া ও স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প ও সাংবাদিকের সোর্স ও লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ১শত টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে। এছাড়াও প্রতিফুঁট পাথর থেকে ১টাকা করে ক্যাম্পের নামে চাঁদা নিচ্ছে শাহিদাবাদ গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল্লা। লাউড়েরগড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে চোরাচালানী মামলার আসামী লাউড়েরগড় গ্রামের নুর মিয়া,বারেকটিলার আব্দুল গফফার,তাজুত আলী,বিল্লাল মিয়া,জজ মিয়ার নেতৃত্বে সিন্ডিকেডের মাধ্যম্যে চলছে চোরাচালান। অন্যদিকে চানপুর সীমান্তের রাজাই এলাকা দিয়ে ওই গ্রামের আব্দুল মোতালিব,সম্্রাট মিয়া,আবু বক্করের নেতৃত্বে ও ট্যাকেরঘাট সীমান্তের ১২০০ পিলার সংলগ্ন বুরুঙ্গাছড়া নামক এলাকা দিয়ে রজনী লাইন গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া ওরুপে মরা ছিদ্দিক(৬৫)মাটিকাটা গ্রামের দোলা মিয়া(৫০) ও রড়ছড়া গ্রামের আক্কল আলী(৬০) এর নেতৃত্বে প্রতি রাতেই আসছে শতশত বস্তা চোরই কয়লা এর এরজন্য গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া ওরুপে মরা ছিদ্দিক নিজেকে বিজিবির র্সোস লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে প্রতি বস্তা চোরাই কয়লায় নিচ্ছে ৬০ টাকা করে।এব্যপারে ছিদ্দিক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলে, আমি কিছু জানিনা, আর আমি কোন টাকা টুকা নেই না। চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে ওই গ্রামের নজরুল মিয়া,হরমুজ আলী,আব্দুল আলী ও আব্দুল হাইর নেতৃত্বে চলছে ওপেন কয়লা পাচাঁর। এব্যাপারে লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার ইমাম হোসেন বলেন,বিএসএফের হাতে নৌকা আটকের বিয়য়টি জানা নেই,তবে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁরের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে অনুরোধ করেছিল কিন্তু আমি তাতে সাড়া দিইনি। সুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন,সীমান্তের চোরাচালান প্রতিরোধ জোর তৎপরতা চালানো হয়েছে,এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।