বিবিয়ানায় ৩৮৩ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সই
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই করেছে বিদ্যৎ উন্নয়ন বোর্ড। হবিগঞ্জের বিবিয়ানায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিবিয়ানায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে সংস্থার সচিব জহুরুল হক এবং আইসোলাক্স ইনজেনেরিয়ার পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার হোসে লুই দাগো ইলোরজা ও স্যামসং সি অ্যান্ড টি কর্পোরেশনের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার সুং কি না এই চুক্তিতে সই করেন। স্পেনের আইসোলাক্স ইনজেনেরিয়া এস এ এবং স্যামসং সি অ্যান্ড টি কর্পোরেশন নামের এই প্রতিষ্ঠান দুটি আগামী ৩০ মাসে গ্যাসভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে উৎপাদনে যাবে।এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম ও পিডিবির সদস্য (পরিকল্পনা) জাফরুল্লাহ ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ কেন্দ্র নির্মাণে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার ৫০৮ কোটি টাকা বা ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়বে এক টাকা ১৩ পয়সা।
চুক্তি অনুযায়ী দুই ঠিকাদার যৌথভাবে এ প্রকল্পের প্রকৌশল, কেনাকাটা ও নির্মাণ কাজ শেষ করবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে তারা পাবে ২৩৯ কোটি টাকা বা ২৮ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।১৪ দশমিক ৫৪ একর আয়তনের ওই প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট ও টোপোগ্রাফিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটির টওতি আহ্বান জানান এবং এ জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবিকে পরামর্শ দেন।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, ভোক্তারা যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। একইসাথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, এটি একটি দক্ষ ও আধুনিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। আমরা আশা করছি বাস্তবায়নকারী সংস্থা সময়মতো কাজ শেষ করবে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যৎ কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটে উৎপাদন খরচ পড়বে এক টাকা ১৩ পয়সা। এতে ৩৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর চুক্তি সই তারিখ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।