জয় উৎসব শুরু : প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে জনতার ঢল

Shohid Mirnar 16 Dec 2014অহী আলম রেজাঃ আজ ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন। একাত্তরের এই দিনেই বাঙালি নিজস্ব জাতিসত্তার পরিচয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পায় বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে যুদ্ধের শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধের সমাপ্তিতে আজকের এই দিনে পাকিস্তানের শৃঙ্খল ভেঙে বাংলাদেশ নতুন পরিচয়ে পরিচিত হয় বিশ্বের দরবারে। এই বিজয় অর্জনের পেছনে রয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ। এই অর্জনের জন্য সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে দুই লাখ মা-বোনকে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মত্যাগ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনকে আজ জাতি স্মরণ করবে বিনম্র শ্রদ্ধায়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল মধ্যরাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। সন্ধার পর থেকে সব বয়সী মানুষ শহীদ মিনারে আসতে থাকেন। রাত ১০ টার মধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় শহীদ মিনার এলাকা। নতুন আঙ্গিকে শহীদ মিনার নির্মান করায় অভিভূত মানুষ। অন্যদিকে যারা শহীদ মিনারে আঘাত করেছে, হামলা চালিয়েছে তাদের প্রতি ধিক্কার দিয়েছে সবাই।
ভোর পর্যন্ত ফুল দিয়ে শহীদ মিনার বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করেছে কৃতজ্ঞ জাতি। একে একে শহীদ মিনারে পু®পার্ঘ অর্পন করেছেন শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেটের পুলিশ সুপার, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ, সিলেট Shohid Mirnar 16 Dec 2014_2জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল, ছাত্রসমাজ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট। বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটের প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
Sylhet Shohid minar 16-12-2-14সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বধিন মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু হবে। সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ১১ টায় পুলিশ লাইন শহীদ এসপি সামসুল হক মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় সন্ধ্যা ৬টায় পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।