কর্মকর্তারা শনাক্ত, আজ কারণ দর্শানোর নোটিশ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে কারা গিয়েছিলেন তাদের শনাক্ত করার কাজ প্রায় শেষ করেছেন গোয়েন্দারা। গোপন প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার চিহিৃতদের নামে কারণ দর্শানোর চিঠি ইস্যু করে হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত শনিবারেই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী গোপন বৈঠক করেছেন তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরকারের কাছে রয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি বলেন, ‘‘গোপন বৈঠক সম্বন্ধে গোয়েন্দারা আগেই জানত। এক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের কোনো ব্যর্থতা ছিল না বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিএনপির এই ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে ২০০৬ সালেও এমন বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনের কাছে জনগণ নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘‘তাঁদেরকে তাঁদের কাজই করতে হবে। গভীর রাতে বৈধ সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র করা তাঁদের কাজ নয়। এটি অপরাধ। এই অপরাধ কেবল তাঁরাই করেননি। সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এই মামলায় প্রধান আসামি হবেন খালেদা জিয়াই।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে।নিজ নিজ মন্ত্রণালয় পদ-পদবি অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে একদল সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারি দেখা করেন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে। এ ক্ষেত্রে সাবেক ও বর্তমান আমলাদের সংখ্যা ও পরিচয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।