কানাইঘাট উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের কমিটিকে ঘিরে পদপ্রার্থীদের দৌড়-ঝাঁপ শুরু
জসিম উদ্দিনঃ দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কানাইঘাট উপজেলা,পৌর ও কলেজ শাখার আসন্ন কমিটিকে ঘিরে নেতৃত্ব প্রত্যাশী ছাত্রনেতাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে জোরে-সোরে। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে কানাইঘাট উপজেলা,পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের সর্বশেষ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে অদ্যবধি নতুন কোন কমিটি বা সন্মেলন না হওয়ার কারনে আসন্ন কমিটিকে ঘিরে নেতৃত্ব প্রত্যাশিরা মাঠে নেমেছে কোমর বেঁধে।তারা মনের মত পদ পেতে ইউনিয়ন
থেকে জেলা পর্যন্ত দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছে। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে,উপজেলা ছাত্রদলের বর্তমানে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী দলীয় পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।ওপর দিকে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদে ৩ জন সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জনের নাম শোনা যাচ্ছে।কলেজ শাখার সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারন সম্পাদক পদে ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে।উপজেলা সভাপতি পদে আবুল বাশার ও রুহুল আমিন এর নাম শোনা যাচ্ছে।সাধারণ সম্পাদক পদে জসিম উদ্দিন, মুশফিক হাসান কবির,দেলোয়ার হোসেন ও আজমল হোসেন পদ পেতে মাঠে নেমেছে বলে শোনা যাচ্ছে।অপর দিকে পৌর সভাপতি পদে আমিনুল ইসলাম, আব্দুল বাছিত ও দেলোয়ার হোসেন এর নাম
শোনা যাচ্ছে।সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল ফয়েজ, জাহাংগীর, আব্দুর রাহমান, রেজোয়ান ও তাজরিন আহমদ রিয়াজ এর নাম শোনা যাচ্ছে।কলেজ শাখার সভাপতি পদে রানা,বদরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও হুমায়ুন রশিদ রাসেল এর নাম শোনা যাচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল কাদির, কয়ছর আহমদ, রুহুল আমিন এর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের সাথে যোগাযোগ করা হলে সবাই তাদের জয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদী, কিন্তু সাধারণ
সম্পাদক পদ প্রত্যাশী আজমল হোসেন ভিন্ন মত পোষণ করে বলেন তিনি আপাতত সাধারণ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে আগ্রহী নন,তিনি জানান আমি বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত
আছি,তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে দলের ক্ষতি হোক তা চাইনা।যারা যোগ্য,আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল- জুলুমের শিকার হয়েছেন তাদেরকে কমিটিতে স্থান দেওয়ার পক্ষে মত দেন তিনি। তবে উক্ত কমিটি সরাসরি নাকি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হবে তা নিয়ে রীতিমতো বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে গোটা উপজেলায়। তবে তা নির্বর করছে জেলা ছাত্রদলের সিদ্ধান্তের উপর।এদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জোর দাবী জানিয়েছে তৃনমূল পর্যায়ের ছাত্রদল নেতারা।উপজেলা কমিটিকে ঘিরে তৃনমূল নেতাকর্মীরা আর ও জানান,জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি বৃহৎ ছাত্র
সংগঠন। বর্তমানে দলটিতে কয়েক হাজার নেতা- কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। এতবড় একটি সাংগঠনিক শাখার কমিটি নিয়ে প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকাটাই স্বাভাবিক।তাছাড়া কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রদলে কোন গ্রুপিং নেই।তবে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হলে দল শক্তিশালী হবে এবং সংঘাত ও গ্রুপিং এর হাত থেকে দল রক্ষা পাবে। তার ব্যাতয় ঘটলে ছাত্রদল দ্বি-খন্ডিত হয়ে যাবে।