টেকেরঘাট সীমান্তে দু’ কয়লা আমদানিকারকের ডিপোতে ডাকাতি
৬টি মোবাইল ফোন সেট সহ সোয়া ৪ লাখ টাকা লুট
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনে দু’কয়লা আমদানিকারকের ডিপোতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নির্ব্রিগ্নে ডাকাতির ঘটনায় ৬ টি মোবাইল ফোন সেট সহ কয়লা বিক্রির সোয়া ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ১৫ থেকে ২০ জনের মুখোঁশ পড়া একদল অস্ত্রধারী ডাকাত। এ ঘটনায় ডাকাতরা ডিপোতে থাকা ম্যানেজার , সর্দার ও নৈশ প্রহরী সহ ৬ জনকে মারধর করেছে।
সীমান্তবর্তী স্থানীয় লোকজন ও ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কয়লা আমদানিকারকদের সুত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তর্তী টেকেরঘাটের বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনের কয়লা আমদানিকারক সুনীল পাল চৌধুরীর সৌরভ ষ্টোরের কয়লার ডিপোর অফিসের দরজা ভেঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ মুখোশ পড়া ডাকাত দল প্রবেশ করে অফিসের ম্যানেজার সঞ্জয় পাল, কয়লা পরিবহন সর্দার রাজীব পাল ও গাফ্ফারকে গলায় রামদা ও ছুড়ি ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাতরা দিনে কয়লা বিক্রির টাকার সন্ধান করতে গিয়ে অফিসের আলমিরা ভেঙ্গে ফেলে পড়ে তাদেরকে মারধর করে অফিসেই বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী কয়লা আমদানিকারক নগর চন্দ্র পাল ওরফে আক্কল পালের লিপি এন্টারপ্রাইজের কয়লার ডিপোর অফিসে টাকা জমা রয়েছে খোঁজ পেয়ে সেখানে অফিসের দরজা ভেঙ্গে ডাকাতরা প্রবেশ করে ঐ অফিসের ম্যানেজার রানা রায়, টিটু পাল ও নৈশ প্রহরী কবিন্দ্র পালকে মারধর করে ধারালো ছুড়ি ঠেকিয়ে জিম্মি করে আলমিরার চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে আলমিরা ভেঙ্গে ডাকাতরা নগদ ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ও অফিসে থাকা লোকজনের নিকট থেকে ৬টি মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায়। চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে ডাকাতরা বলে, মালিকের টাকা যাবে তোদের কি? টাকার সন্ধান না দিলে তোরা মরবি।
ম্যানেজার রানা রায় ও সঞ্জয় পাল জানান, অফিসের বাহিরে ও ভেতরে সব মিলিয়ে মুখোঁশ পড়া ১৫ থেকে ২০ জনের মত ডাকাত ছিল ,তাদের কারো হাতে রামদা, বোজাং, সাবল, কাঠের রোল, আবার কারো কারো হাতে ধারালো ছুড়ি ছিল। কয়লা আমদানিকারক সুনীল রায় জানান, ডাকাতির ঘটনাটি ভোরে কয়লা আমদানিকারক সমিতিতে জানানো হয়েছে। সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের বিজিবির টেকেরঘাট বিওপির বি/কোম্পানীর সুবেদার গোলাম রউফ গতকাল শুক্রবার বিকেলে বললেন, বিষয়টি থানা পুলিশ জানানর কথা, আমি সারারাত টহলে ছিলাম, আমাকে কেউ ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানায়নি।
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বললেন,তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে ডাকাতির ঘটনাটি সম্পর্কে জেনে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।