ইতালির মিলানে বিজয়ফুলের এ বছরের কর্মসূচী শুভ উদ্বোধন

news pic 3নাজমুল হোসেন ,মিলান থেকেঃ বিজয়ফুল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ বিজয়ের প্রতীক। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয়ফুল কর্মসূচী ২০১৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ১ লা ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৩ টায় মিলান কনস্যুলেট অফিসে নাজমুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে একে অন্যকে বিজয়ফুল পরিয়ে দেওয়ানোর মধ্য দিয়ে বিজয়ফুলের এ বছরের কর্মসূচী শুভ উদ্বোধন করেন মিলান কনস্যুলেট এর কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল জেনোভার ক্রিস্টিয়ানো পেলো, মিলান কনসুলেটের কাউন্সিলর নাফিসা মনসুর,মুক্তিযুদ্ধা সংসদের আহবায়ক জাকির হোসেন,প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম,সুবীর চন্দ্র সরকার,মোক্তার আহমেদ, নাসরিন সুলতানা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদ,ঢাকা সমিতি মিলানের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিপু,কুমিল্লা সমিতির উপদেষ্টা হাসিব আলম সেলিম,সহ সভাপতি হাসি আলম,মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল মতিন,এটিএন বাংলা ইউকের মিলান প্রতিনিধি একে রুহুল সান সহ অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী।

পাঁচটি সবুজ পাপড়ি, মাঝখানে লাল বৃত্ত। ‘বিজয়ফুল’। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক। বেশ কয়েক বছর ধরে ডিসেম্বর এলেই ১ তারিখ থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন দেশ-বিদেশের বাংলাদেশিরা নিজেদের জামা, ব্লাউজ, শার্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্টে এ ফুল পরছেন। ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে ও বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের এই প্রতীক কেন্দ্র করে করছে মুক্তিযুদ্ধের গল্পবলা, লেখা ও আর্ট ওয়ার্কশপ। কাগজের তৈরি এ সহজ অনাড়ম্বর ফুলটি গেয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জীবন উত্সর্গকারীদের স্মরণে ব্রিটেনে চালু থাকা পপি ফুল পরার চল দেখে এই ‘বিজয়ফুল’ চালু করার ধারণা মূলত ব্রিটেন প্রবাসী কবি শামীম আজাদের।একাত্তরের ডিসেম্বরের সেই বিস্ময়কর সময়েই তো ফুটেছিল বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর ফুল। পতাকার ঘন সবুজে যে রক্তিম সূর্য উঠেছিল, তারই রূপকল্পেই তো হতে পারে আমাদের ‘বিজয়ফুল’।বিজয়ফুল এখন সবার।শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করুন, ‘বিজয়ফুল’ পরুন এবং অন্যকেও পরান। বিজয়ফুল পেতে এবং বিজয়ফুল সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-  Email: [email protected]