দক্ষিণ সুরমায় ভাইকে অপহরণ চেষ্টা : আটক দু’জন জেলহাজতে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল এলাকায় আপন বড় ভাইকে অপহরণ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটকশনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হয়েছেন ২ জন। দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম আল আমিনসহ অপহরণকারীদের ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আটককৃতরা হচ্ছে- মোগলাবাজার থানাধীন আসামপুর গ্রামের মৃত মুহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (২৪) ও বালাগঞ্জ থানাধীন আনোয়ারপুর গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২২)।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ ইসলাম পুর গ্রামের আল আমিন ব্যবসায়ীক কাজে ভৈরব যাওয়ার জন্য নিজ এলাকা থেকে রাতে এমআর পরিবহনে সিলেট আসেন। নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল এলাকায় আসার পর গাড়ি আধা ঘণ্টার যাত্রা বিরতি হলে আল আমিন গাড়ি থেকে নেমে পাশের দোকানে মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করতে যান। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আব্দুল মালেক, গিয়াস উদ্দিন, সুমন ও মুস্তফা আল আমিনকে টেনেহিঁচড়ে তাদের ভাড়া করা লুসিডা গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় আল আমিনের চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকরা অপহরণকারীদের ধাওয়া করে ২ জনকে আটক করে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আল আমিনের আপন ছোট ভাই মুস্তফা ও সুমন গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটককৃত আব্দুল মালেক ও গিয়াস উদ্দিনকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পুলিশের ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদে তারা স্বীকার করে আল আমিনের আপন ছোট ভাই মুস্তফা তাকে অপহরনের পরিকল্পনা করে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম খাঁন জানান- ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তাকে অপহরণ করার জন্য এক দিন আগে আল আমিনের মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে। ওই ফোনটি করা হয় আল আমিন ভৈরব যাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
এই ঘটনায় আল আমিন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার বেলা ২টায় আটককৃত দু’জনকে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং ৩ এ আনা হয়। আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্র্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম খাঁন।