ইতালিতে খাদ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছে কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ প্রবাসীরা
নাজমুল হোসেন,ইতালি থেকেঃ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’র পুষ্টির উপর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম ইতালী আগমন উপলক্ষে কামরাঙ্গীর চর ও কেরানীগঞ্জ ইতালী অভিবাসীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
গত ২১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় রোমে অত্তাভিয়ানো’র ম্যাক্সি চিকেন এ অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন মোজাফ্ফর হোসেন বাবুল এবং জি এম ওমর ফারুক এর পরিচালনায় অতিথিদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান সাদেক হোসেন ও শাহবুদ্দিন।
এসময় এডভোকেট কামরুল ইসলাম নিজ অঞ্চলের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দিনমজুরের বসবাস সেখানেও উন্নয়নের জোয়ার বইছে। গ্রামগঞ্জে যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল স্থাপন সহ বিদ্যুত, গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের মানুষ শান্তিতে আছে, তত্বাবধায়ক বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবছে না।
তিনি বলেন যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করেছে তারাও আজ সেই ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। দেশের মানুষ এক সময় স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিল কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের জন্যই।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে যারা ৭১’র পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে, তাদের উত্তরসূরী জঙ্গিরা দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে না পারায় দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার যড়যন্ত্র করছে। আবার ৭৫’র পর থেকে জিয়াউর রহমান দেশ বিরোধী যে কাজগুলি করেছে, আজ তার ভবিষত উত্তরাধীকারী খালেদা এবং লন্ডনে বসে তারেক তথ্য সন্ত্রাস ও বাক সন্ত্রাস করে ইতিহাসের বিরোদ্ধে মিথ্যাচার করে চলেছে। তারা নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায়, তাই আমরা যারা দেশকে ভালবাসী তাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় রাষ্ট্রদূত শাহাদৎ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল পাসপোর্ট প্রত্রিুয়ার জটিলতার কথা তুলে ধরেন এবং এই প্রক্রিয়া আরো দ্রুততর করতে সরকারের সহযোগীতা চাইবেন বলে উল্লেখ করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি ইতালী আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী, জামাত শিবির উচ্ছেদ এবং যুদ্ধপরাধীদের বিচারে ভুমিকায় মন্ত্রী’র প্রসংশা করেন এবং এই অপরাধে সকল অপরাধীদের উপযুক্ত শান্তির রায় দিয়ে তা দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানান। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রদূতকে ডিজিটাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতার সমাধানে, বিশেষ করে সঠিক তথ্য প্রবাসীদের কাছে পৌচ্ছানোর সহযোগীতায় ইতালী অভিবাসী নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন।
সংবর্ধনায় ইতালী আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এমএ রব মিন্টু’র উপস্থাপনায় মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসাবে আতাউর রহমান শামিম ও দূতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর ডঃ মফিজুর রহমান এবং ইতালী আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাবিব চৌধুরী, জাহাঙ্গীর ফরাজী, যুগ্ম সম্পাদক কিটন শিকদার, সোহেব দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার জামান, সরদার লুৎফর, সদস্য আইয়ূব খান প্রিন্স, যুবনেতা মেহেদী হাসান, আলাউদ্দিন শিমুল, জসিম উদ্দিন সহ প্রচুর সংখ্যক ইতালীস্থ কামরাঙ্গীর চর ও কেরানীগঞ্জ অভিবাসী উপস্থিত ছিলেন।