গোয়াইনঘাটে যাত্রার আড়ালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ
আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি – দেখার যেন কেউ নেই
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ নির্লজ্জ পুলিশ, অসহায় জনগন। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অপকর্ম নিয়ে একাধিক সংবাদ সিলেটের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল শূন্য। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সহ একাধিক অফিসারকে উর্ধতন মহল পুরষ্কিত করেছে। থানার আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি ঘটছে। রাতের আধাঁরে যাত্রা গানের আসরে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ, চলছে মদ নারী নিয়ে খেলা ও জুয়াসহ নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপ । আইনের রক্ষক না হয়ে ওসি গোয়াইনঘাট এমএ হাই এর দালাল মো.জমসিদ,মো.জিয়াউর রহমান ( জিয়া ),আব্দুর রশিদ টুকই,ও জাহাঙ্গীর’র সহ একাধীক ব্যক্তির মাধ্যেমে উপজেলার একাধিক গ্রামে অশ্লিল যাত্রাগান অনূষ্টিত হচ্ছে। আর এসব গানের আসর প্রতি এদের মাধ্যমে ২০থেকে ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন থানা পুলিশ। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সর্বত্র। হাওর বেষ্ঠিত প্রায় ৩লক্ষ মানুষের জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলা। উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে এবং প্রত্যেকটি এলাকায় বড় বড় হাওর রয়েছে। জানা গেছে প্রতিদিন রাতের আধাঁরে উপজেলার কোননা কোন হাওরে অনুষ্ঠিত হয় যাত্রা গান’র আসর আর এসব গানের কন্টাক নিতে হলে সরাসরি ওসি গোয়াইনঘাট আব্দুল হাই’র সাথে অথবা ওসি আব্দুল হাই’র বায়া মো.জমসিদ,মো.জিয়াউর রহমান ( জিয়া ),আব্দুর রশিদ টুকই,ও জাহাঙ্গীর’র সাথে যোগাযোগ করতে হয়। অপর দিকে এসব গানের অনুষ্টানকে ঘিরে অনুষ্টানস্থলে গড়ে উঠে মদ্যপান, জুয়াখেলা ও নারীদের আড্ডা এমন কি খোলা মেলা অশি¬ল গান । অনুষ্টান স্থলে থাকে বিভিন্ন গ্রামের উঠতি বয়সী যুবসমাজ থেকে শুরূ করে বৃদ্ববয়সী লোকজন। যেখানে কিছু সংখ্যক লোক পরে সবাই থাকে মাতাল। একের পর এক ঘটতে থাকে ভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রত্যেকটি গানের মধ্যে ১২/১৬টি জুয়াখেলার বোর্ড থাকে যেখানে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা অনুষ্ঠিত হয় । এক শ্রেনীর অসাধু মহল হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন এ লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে প্রভাব পড়ছে সাধারন মানুষের উপর কেননা ঐ জুয়াড়ীরা জুয়া খেলায় তাদের সর্বস্থ হারিয়ে খালি হাতে ফিরে যায় বাড়ীতে। ঐসকল ঘাটতি পোষাতে ঐ সব জুয়াড়ীরা বেছে নেয় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের পথ। আর প্রতিদিন উপজেলার কোননা কোন এলাকায় চুরি সহ নানাবিধ লুটের ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয়ে থানায় প্রতিদিন মামলা হচ্ছে,আবার কিছু ঘটনার তথাকতিত সালিশগন আপোষেঁর নামে চালিয়ে যাচ্ছেন সালিশ বানিজ্য।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে এলাকায় এসব যাত্রাগান বাস্থবায়নের জন্য গানের আসর প্রতি ওসি গোয়াইনঘাট এমএ হাই অথবা মো.জমসিদ উদ্দিন,মো.জিয়াউর রহমান ( জিয়া ),আব্দুর রশিদ টুকই,ও জাহাঙ্গীর’র মাধ্যেমে ২০থেকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দিতে হয় ওসি গোয়াইনঘাটকে ঐসব টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হয় । এমনকি এ এরকম গানের আসরে ইতিপুর্বে অনেক জুয়াড়িদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে বলে সংশি¬ষ্টদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানাগেছে। সুত্র জানায়,উপজেলার আলীরগাঁও ইউ/পি’তে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত হাকুর বাজার সংলগ্ন হাওরে, বৃহস্পতি বার দিবাগত রাত নাইন্দা তিতকুলি¬ হাওরে ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ’র নেতৃত্বে ,শুক্রবার দিবাগত রাত রাউতগ্রাম বালির হাওরে ,এবং পশ্বিম জাফলং তেরকান্দি হাওর সহ একাধিক স্থানে এসকল যাত্রাগান অনুষ্টিত হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়,সবচেয়ে বেশি আলীরগাঁও এবং পশ্বিম জাফলং ইউনিয়নে যাত্র গানের আসর অনুষ্টিত হয় । এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থান্রা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাইয়ের সাথে আলাপ করলে তিনি বিষয়টা দেখছেন বলে আশার বুলি শুনালেও এ নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নেই।