তারেকের জন্মবার্ষিকীর র্যালিতে ছাত্রদলের ককটেল হামলা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০ তম জন্মবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালি ঠেকাতে ককটেল হামলা চালায় দলের বিদ্রোহীরা। মূহুর্মূহু ককটেল বিস্ফোরণ আতঙ্ক ছড়ালেও ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র্যালি ঠেকাতে পারেনি তারা। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে কোর্টপয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। মিছিলটি জিন্দাবাজর পয়েন্টে আসার ঠিক আগে ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্তত ১৫-২০ টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। এসময় জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে বিদ্রোহীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের মিছিলটি জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে আম্বরখানা গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদ বলেন, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানকে যে কোনো মূল্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন। তিনি বলেন, হামলা করে ছাত্রদলকে ঠেকানো যাবে না।
সমাবেশ শেষে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ লাঠিসোটাসহ আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টা পয়েন্টের দিকে আসে। সেখানে পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফিরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন জানান- ছাত্রদলের ‘পকেট কমিটি’র র্যালিতে কমিটি প্রত্যাখানকারীরা হামলা করেনি। শাবিতে ছাত্রলীগের তান্ডবের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে। অথবা ‘পকেট কমিটি’র অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বের জের ধরেও এই ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহীরা ‘পকেট কমিটি’কে প্রতিরোধ করতে হলে প্রকাশ্যেই মোকাবেলা করত।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ বলেন- ছাত্রদলের র্যালিতে গলির ভেতর থেকে কয়েকজন যুবক ইট মেরেছিল। পরে তাদেরকে ধাওয়া করা হলে তারা পালিয়ে যায়।