আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে মেজর জলিল চেতনার বাতিঘর
লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ
মেজর জলিলের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষীকির আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আধিপত্যবাদ ও সাম্রজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে মেজর জলিল ছিলেন আপোষহীন সংগ্রামী যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা রক্ষায় আমরন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ভারতীয় তোষন নীতি ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশীয় ও ভারতীয় মিত্রবাহীনির লুন্ঠনের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়ায় শেখ মুজিবের রোষানলের শিকার হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা দারিদ্র ও মৌলিক অধিকার আদায়ে জাসদ প্রতিষ্ঠা করে ২৩ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই জাসদ আর্দশহীন হয়ে হাসিনার দুনীর্তি দু:শাসন লুটপাটের পাহারাদারের ভুমিকা পালন করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ মুজিব ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে রক্ষীবাহীনি ও মুজিববাহীনি দিয়ে ৩৮ হাজার দেশপ্রেমিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। বতামান শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার ৫ জানুয়ারী ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের সভা সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। হামলা মামলা গ্রেফতার নির্যাতনের মাধ্যমে নেতা কমীদের চরিত্র হনন করছে। তারা জনগনের আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করতে নেতৃত্বকে দুর্বল ও বিছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। সাধারন মানুষ শেখ হাসিনার দু:শাসনে চরম ভাবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বিদুৎ ও গ্যাসের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি করে শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে। শেয়ারবাজা, হলর্মাক, ডেসটিনি, বেসিক ব্যাংক ও পদ্মাসেতু কেলেংকারীর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। মেজর জি লের চেতনায় ফ্যাসীবাদী দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে নামতে হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। গনতন্ত্রের লেবাসধারী ডিজিটাল বাকশালী অপশক্তিকে মোকাবেলায় জূাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।
আজ (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ফটোজার্নালিষ্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্্েযাগে আধিপত্যবাদী আগ্রাসন- মেজর জলিল ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় করনীয়’শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। প্রধান বক্তা মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বক্তাব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সাদেক খান, মক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ন্যাপভাসানী সভাপতি এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, এমদাদুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব হিন্দুরত্ব রামকৃষ্ণ সাহা, মিসেস শামীমা চৌধুরী, মাহমুদ খান, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আল আমিন, যুবফোরাম আহবায়ক হুমাউন কবীর, ছাত্রফোরাম আহবায়ক কামরুল ইসলাম সুরুজ প্রমুখ।
সভাশেষে মেজর জলিলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আনোয়ার হোসাইন। বিজ্ঞপ্তি