ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করল না সিলেট ছাত্রদল
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের ভয়ে ও নিজেদের মধ্যে ঐক্য না থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকলেন ছাত্রদলের নতুন কমিটি। এদিকে অনুমুতি না পাওয়ায় মাঠে নামতে পারেননি ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহী নেতারা। সংগঠন সুত্রে জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক সমন জারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল দেশব্যাপী দু দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করে। মঙ্গলবার ছিল জেলা,মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ এবং বুধবার থানা,পৌর ও কলেজ সমূহে বিক্ষোভ কর্মসূচি। কিন্তু মঙ্গলবার সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটি ও বিদ্রোহীদের কাউকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। অথচ তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গীয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা কমিটি কাযর্ক্রম চালিয়ে গেলও তারেক রহমানের বিরোদ্ধে মামলা দায়েরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন না করায় নগর জোরে চলছে আলোচনা সমালোচনা। কেননা কমিটি ঘোষনা পর ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা তারেক রহমানের হাত ধরে ছাত্রদলের কমিটি এসেছে তাই এই কমিটি কোন পরিবর্তন হবে না বলে নেতা কর্মীদের কাছে বলে আসছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। তাছাড়া দীর্ঘ ২ মাসেও ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের ভয়ে রাজপথে বের হতে পারছেন ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা। তবে তারা পুলিশের প্রহরায় গত ৮ নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস পালন করতে দেখা গেছে। এদিকে নিজেদের মধ্যে ভাঙ্গন দেখা দেওয়া আরো দুর্বল হয়ে পড়েছেন নতুন কমিটির নেতারা। জানা যায়, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান কে ১৭ অক্টোবর ছাত্রদলের বিদ্রোহীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার গণপিঠুনি দেন। আর এই ঘটনার জন্য ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে না তোলায় ছাত্রদলের নতুন কমিটির উপর ক্ষোব্দ আবু সালেহ লোকমান। এদিকে নতুন কমিটি ঘোষনার পর একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে বিদ্রোহীদের দুর্বল করতে ব্যার্থ হলে তারা আশ্রয় নেন সিলেট জেলার যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের । তারা মনে করে ছিলেন জামান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হয়ে আসবেন। তাই তারা জামানের আশ্রয় নিয়েছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। কিন্তু জামান মহানগর বিএনপির কোন পদ না পাওয়া বেয়কায়দা পড়ে যান ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা। নিজের অস্থিত ধরে রাখার জন্য মহানগর বিএনপির নতুন কমিটির বিরোদ্ধে ঝাড়ুঁ মিছিলে অংশ গ্রহন করলেও এখন দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে ফাটল ।মহনাগর বিএনপির কমিটি ঘোষনা হওয়ার পর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দীকি খালেদ শমসের মবিন অনুসারীদের সাথে যোগাযোগ করছেন আর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান নিরব ভুমিকা পালন করছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। তারা মঙ্গলবার মহানগর বিএনপি কমিটিকে প্রত্যাখান করে বিএনপির বিদ্রোহীদের সংবাদ সম্মেলনে অংশ গ্রহন না করার জন্য কৌশলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না বলেন , আমি বাহিরে ছিলাম। তবে মদন মোহন ও সরকারি কলেজে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। কিন্তু জেলাও মহানগরে কেনও হল না । তা জনতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সভাপতি কে একটি ফোন দিয়ে জেনে নেন।এদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ফোন রিসিভ করেননি । এবং মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাছাড়া এ ব্যাপারে ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতা সাবেক জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল মুর্শেদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ৭ নভেম্বর আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে পুলিশ ১৪ নেতা কর্মীকে গ্রেফ্তার করেছে। এবং আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদেরকে গ্রেফ্তারের চেষ্টা করেছে। তাছাড়া ৮ নভেম্বর পুলিশের অনুমতি থাকা সত্তেও আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে পুলিশ বাদা দিয়ে নতুন কমিটিকে পুলিশ বেষ্ঠনীর মধ্যে দিয়ে নগরীতে মিছিল করিয়েছে। আজ ও আমরা তারেক রহমানের বিরোদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য শান্তি পূর্ণ মিছিল করার জন্য অনুমতি চাইলে পুলিশ তা দেয়নি। তবে আমরা অচিরে সিলেটের ছাত্রজনতাকে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলব।