মহানগর বিএনপির কমিটি বাতিল ও শমসেরকে প্রত্যাহারের দাবি

BNP 18-11-2014সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটি বাতিল ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবীনকে সিলেট বিএনপির দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নতুন কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।
লিখিত বক্তব্যে পংকী বলেন, নবগঠিত সিলেট মহানগর বিএনপি’র কমিটি গঠনের পর উদ্ভুত পরিস্থিতি ও আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার মধ্য দিয়ে আজ আমরা আপনাদের সহায়তায় দেশ মাটি ও মানুষের নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সিলেট বিএনপিকে বাঁচানোর দাবী জানাতে এখানে সমবেত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী সিলেট বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে দূর্বার আন্দোলন সংগ্রাম সিলেট থেকে শুরু করেছিলেন তাতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সরকার তাদের গুম নামক কারাগারে ইলিয়াস আলীকে বন্দী করে রেখেছে। গুম হবার পর তার নিজ এলাকা বিশ্বনাথে আন্দোলনের যে লেলিহান শিখা জ্বলে উঠেছিল তা সিলেট নগরসহ সারা দেশে যখন ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। ঠিক তখনই শমসের মুবীন চৌধুরীর সু-কৌশলে সেই আন্দোলনের গতি প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়।’
পংকী আরো বলেন, ‘সিলেটে শমসের মুবীন চৌধুরীর অজানা রহস্যময় কিছু কর্মকান্ড তার নেতৃত্বকে সিলেটের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনকামী নেতাকর্মীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে। এই ক্রান্তিকালীন সময়ে তার নেতৃত্বে সিলেটে বিএনপি’র অনেক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে, যা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে, সংগঠন হিসেবে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যে।’
তিনি বলেন, ‘শমসের মুবীন চৌধুরী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইলিয়াস আলীর সাথে যারা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ছিলেন, তাদের রাজনীতির মাঠ থেকে নিশ্চিন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে বিগত দু’বছর তার কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। জেলা বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে শমসের নিজের পকেটের কিছু লোককে পদে বসানোর হীন উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য পরিবেশন করে নির্বাচিত সিলেট সদর থানা কমিটির বদলে পকেট কমিটি গঠনের মাধ্যমে সিলেট বিএনপি’র রাজনীতিতে স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন।’
পংকী বলেন, ‘শমসের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর থানার জনপ্রিয় দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ জামাল নুরুল হুদা এবং আলহাজ¦ শহীদ আহমদকে বাদ দিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ভাড়া করে এনে প্রার্থী করেন আবুল কাহের শামীমকে। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে কেন্দ্রীয় বিএনপি সদর উপজেলায় শামীমকে বাদ দিয়ে নুরুল হুদাকে সমর্থন দিলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শমসের মুবীন শামীমের পক্ষে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। তিনি এসময় পত্রিকায় দম্ভ করে বলেন, বিএনপি কার্য্যালয় কি করলো তা আমার জানার বিষয় নয়, আমাকে ম্যাডাম জিয়া কিছু জানাননি। ফল যা হবার হয়েছে। সম্ভাবনা থাকা স্বত্তেও সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ বিএনপি হারিয়েছিল। সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অসন্তুষ্ট ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সান্তনা বা সমঝোতার দীক্ষা না দিয়ে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে মাঠ না ছাড়ার জন্যে নির্দেশ দিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করার সুযোগ করে দেন।’
পংকী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এভাবেই শমসের বিএনপি ও বিএনপি পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ সংঘাত সৃষ্টি করে মূলত কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন?’
পংকী আরো বলেন, ‘শমসের সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গত ৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য পরিবেশন করে সিলেট মহানগর বিএনপি’র নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত এবং অবৈধ নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে জীবনবাজি রেখে হামলা মামলার শিকার হয়েছিলেন, তাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটিতে আন্দোলন বিমুখ, প্রবাসী, সুবিধাবাদী এবং সর্বোপরী তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারী, অনুসারী ব্যবসায়ী পার্টনার, বহিরাগত আর আত্মীয় স্বজনদের স্থান দিয়ে কমিটি গঠনের কারণে কমিটি গঠনের মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তৃণমূল নেতাকর্মী গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নেমে আসে।’
‘নবগঠিত সিলেট মহানগর বিএনপি’র মূল নেতৃত্বসহ প্রায় এক তৃতীয়াংশ সদস্য প্রবাসী’ উল্লেখ করে পংকী বলেন, ‘কমিটির আহবায়ক ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীণকার্ড হোল্ডার এবং সিলেটের একজন ধন্যাঢ্য ব্যবসায়ী। বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় কথিত ‘সিলেট ফাউন্ডেশন’-এর অন্যতম পুরোধা। আবার তিনি নর্থ ইষ্ট বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। যেখানে আওয়ামী সরকার সারা দেশে বিএনপি’র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো পারলে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়, সেখানে ওই সরকারের আমলে সিলেটে বিএনপি নেতার মালিকানাধীন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় কিভাবে?’
তিনি বলেন, ‘নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম যুক্তরাজ্য প্রবাসী। বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় স্ব-পরিবারে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও মধ্যে কয়েক সপ্তাহের জন্যে দেশে এসে তিনি আহমদ হাউজিং এর আত্মসাৎকৃত জমি মালিককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন। প্রবাসী এই নেতা বিভিন্ন সময় বড় বড় পদ আকড়ে থাকলেও কখনও আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না, কখনও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। এমনকি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও গ্রেফতার হয়ে জেলে যাননি। প্রতারণাপূর্বক ছাত্রদলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছিনিয়ে নেয়োর পর দীর্ঘ ৯ বছরে ছাত্রদলকে সংগঠিত করার বদলে নিজের নামে গ্র“প সৃষ্টি করে শান্তির জনপদ সিলেটকে অশান্ত করে তুলেন। এছাড়াও ছাত্রদল থেকে বিদায় বেলায় ৯১ সালে সর্বসম্মতভাবে গঠিত জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়কের ক্রমবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটিয়ে ছাত্রদলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের যে বিষবাষ্প আননয়ন করে যান, তা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে সিলেট ছাত্রদল।’
তিনি বলেন, ‘শমসের কমিটি গঠনের সময় মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের কোন মূল্যায়ন না করলেও সিটি মেয়র আরিফের কিছু অনুসারীকে আলোচনা সাপেক্ষে কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন। যখন ওয়ান ইলিভেনের পরবর্তীতে সিলেট বিএনপি কোথাও দাঁড়াতে পারছিলনা তখন বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদ আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী তাঁর নিজ কাউন্সিলর কার্য্যালয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অফিসের জন্যে ছেড়ে দেন। অথচ সেই সাধারণ সম্পাদককে বর্তমান কমিটিতে নাম মাত্র রাখা হয়েছে। পংকী ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে রাজপথে থেকে মিছিল মিটিং করার কারণে একাধিক মামলার আসামী হয়ে প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হবার পরও বর্তমান কমিটিতে তার অবমূল্যায়ন নেতাকর্মীদের হতাশ করেছে।’
পংকী বলেন, ‘কমিটিতে স্থান হয়নি মাঠ পর্যায়ের কর্মীর সাথে সম্পৃক্ত বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি তারেক আহমদ চৌধুরীর, অথচ সদস্য পদ পেয়েছেন কোনদিনই বিএনপি’র কোন পর্যায়ে না থাকা সাবেক সভাপতি এমএ হকের ব্যবসায়ীক পার্টনার আহাদুস সামাদ। একইভাবে কমিটিতে স্থান হয়নি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির দুই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক ও সিটি কাউন্সিলর দিনার খাঁন হাসুর। কিন্তু স্থান পেয়েছেন শমসেরের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা বহিরাগত রেজাউল করিম আলো এবং এমদাদ হোসেন চৌধুরী। কমিটিতে স্থান পাননি মহানগর বিএনপি’র দপ্তরের দায়ীত্বে থাকা ছাত্রদলের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবুর। এদের বিপরীতে স্থান পেয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতির প্রিয়ভাজন এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ এবং সিটি মেয়র আরিফের প্রিয়ভাজন আব্দুস সাত্তার। সিটি মেয়র আরিফের নিজের পছন্দের লোক হিসেবে কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিনকে প্যানেল মেয়র করতে না পারলেও এবার মহানগর বিএনপিতে সদস্য হিসেবে নিয়ে এসেছেন এবং সাথে রেখেছেন তারই আপন সহোদর সৈয়দ মঈনউদ্দিন সুহেলকে। অভিযোগ আছে শমসের মুবিন চৌধুরীর প্রিয় পাত্র জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাহের শামীমের পরামর্শে সিলেট মহানগর বিএনপি’তে সদস্য হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে নগরীর আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে তহবিল তছরুপ করার দায়ে অব্যাহতি প্রাপ্ত মহবুব চৌধুরীকে।’

তিনি বলেন, ‘৮ নভেম্বর গঠিত সিলেট মহানগর বিএনপি’র কমিটি গঠনের সময় দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মতামত যেমন মূল্যায়ন করা হয়নি, তেমনি সিলেট বিএনপি’র সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সিলেট বিভাগের বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সাখাওয়াত হোসেন জীবনকে পাশ কাটিয়ে, তাদের অগোচরে বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃত্বকে ভুল তথ্য পরিবেশন করে নিজের অশুভ ফায়দা হাসিলের জন্যে এবং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে শমসের মুবীন সিলেট মহানগর বিএনপি’র জন্যে তার পকেট কমিটি হাসিল করেন। গঠিত কমিটিতে আন্দোলন কামীদের যেমন বাদ দেয়া হয় তেমনি উপেক্ষিত হন বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে আন্দোলন বিমুখ রাখার জন্যে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যে শমসের মুবীন কাজ করে চলেছেন।’
পংকী বলেন, ‘নবগঠিত সিলেট মহানগর বিএনপি’র কমিটির মধ্যে থাকা কিছু ত্যাগী সদস্যদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আপনাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা এখনও মনে করি আমরা সকলেই বিএনপি পরিবারের সদস্য। আসুন আমরা সকলে মিলে এমন এক মহানগর বিএনপি করি যেখানে আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ কাতারে থেকে নেতৃবৃন্দ আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন ও অসময়ে আমাদের একা ফেলে স্বপরিবারে বিদেশ পাড়ী দিবেন না বা কোন সামরিক জান্তার ক্যাম্পে বসে মুড়ি-চানাচুর খাবেন না, ফাউন্ডেশন তৈরী করবেন না।’
পংকী আরো বলেন, ‘সিলেটের আন্দোলনকামী তৃণমূল নেতাকর্মীরা ঘোষিত মহানগর কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুনরায় অবহিত করছি। শীঘ্রই আমরা সংগঠনের বিধি মোতাবেক কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রধান নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবো। তাই কেন্দ্রের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আপনারা এই কমিটি দিয়ে কোন প্রকার সভা সমাবেশ মিছিল করা থেকে বিরত থাকবেন। যদি আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে আপনারা শমসের মুবীনের ইচ্ছা পূরণে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করেন, সভা আহবান করেন তবে আমরাও সিলেট বিএনপিকে বাঁচাতে পাল্টা কর্মসূচী গ্রহণ করতে পিছপা হবোনা।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নব গঠিত সিলেট মহানগর বিএনপি’র কমিটি বাতিল করবেন, আন্দোলন সংগ্রামে যোগ্য নেতৃত্ব দানকারী নেতৃত্ব সৃষ্টি করার জন্যে সিলেটের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত গ্রহণ পূর্বক নতুন কমিটি গঠন করবেন, সিলেট বিএনপিকে বাঁচাতে এবং আন্দোলনের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় সিলেটের সকল রাজনৈতিক দায়িত্ব ও প্রভাব থেকে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদিক সম্মেলনে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট থেকে হারিস চৌধুরী, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউসের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
মহানগর বিএনপির কমিটি বাতিল ও শমসের মুবীনকে সিলেটের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচীর ম্েযধ রয়েছে সিলেট মহানগরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়, আন্দোলনকামী মাঠপর্যাযের নেতা কর্মীদের সাথে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মতবিনিময়, সিলেট মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ, কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল প্রভৃতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি অধ্যাপক মকসুদ আলী, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, তারেক আহমদ চৌধুরী, আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, দিনার খান হাসু, সালেহ আহমদ খসুরু, কামাল আহমদ, নাজিম উদ্দিন লস্কর, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মতিউল বারী খুরশেদ, আব্দুর রকিব তুহিন, সালেহা কবির শেফী, আমেনা বেগম রুমী, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী খালেদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না প্রমুখ।