জকিগঞ্জের কেছরী স্কুল পুণঃ প্রতিষ্ঠার দাবীতে সমাবেশ
জকিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জকিগঞ্জ কেছরী খলিকুর রহমান স্কুল পুনঃ প্রতিষ্ঠা ও ৪৩ শতক ভূমি উদ্ধারের দাবীতে বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ পৌর শহরে কেছরী স্কুল অর্গেনাইজিং কমিটির আয়োজনে জনসমাবেশ অনুষ্টিত হয়। সাবেক ইউপি সদস্য ফুরকান আহমদ মুন্সির সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রজন্মলীগ আহবায়ক ফয়েজ আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র বাবুল হোসাইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী খলিল উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল হক মাসুম, স্কুল পুণঃ প্রতিষ্টার উদ্যেক্তা সংগঠক মোছলেহ উদ্দিন সুহেল, কেছরী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান, প্রাক্তন ছাত্র কুতুব উদ্দিন, বাস মালিক সমিতির ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন নজরুল, ফতহুর রহমান শাহিক। অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মধুদত্ত গ্রামের সমাজসেবী মাসুক আহমদ, সিএ বাবুল আহমদ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা নাজু আহমদ, জাপা নেতা আব্দুল হান্নান হানু, সমাজসেবী শহীদ আহমদ, আবুল কালাম, আব্দুল খালিক লুটু, আব্দুল মানিক, কেছরী গ্রামের সমাজসেবী শরিফুজ্জামান, রুবেল আহমদ, শিব্বির আলম রনি, লোকমান উদ্দিন লুমা, আব্দুর রাজ্জাক, শাহান আহমদ প্রমূখ।
বক্তারা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্টিত কেছরী খলিকুর রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নি সংযোগকারীদের বিচার দাবী করে বলেন ১৯৭৫ সালে রাতের আধারে ভূমি খেকুচক্র কেছরী স্কুলটি পুড়িয়ে দেয়। কিন্তু তার বিচার আজও হয়নি। বক্তারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জকিগঞ্জের দৃষ্টি আর্কষন করে বলেন, বিবিধ ৪৫ নামজারী বাতিল করে অভিলম্বে স্কুলের দালিলিক নামে রেকর্ড দেয়ার আহবান জানান এবং বিদ্যালয়ে অগ্নি সংযোগে জড়িতদের চিহিৃত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ১৯৭২ সালে কেছরী গ্রামের প্রয়াত সাংবাদিক ফয়জুর রহমান আলমনগর মৌজার ৯৩০ ও ৯৩২ এস.এ দাগে ৪৩ শতক ভূমি স্কুলের নামে দান করেন। তার দানকৃত ভূমিতে ঐ বছর কেছরী খলিকুর রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৭৫ সালের ৩০ আগষ্টের রাতে রহস্যজনকভাবে স্কুলটি আগুনে পুড়ে যায়। বর্তমানে স্কুলের ৪৩ শতক ভূমি তৎকালীন সময়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষককের দখলে রয়েছে। স্কুল পুড়িয়ে দেয়ার ৩৯ বছর পর চলিত বছরের ৪ মে এলাকাবাসীর পক্ষে স্কুল পুণঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যেক্তা সংগঠক মোছলেহ উদ্দিন সুহেল জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এলাকাবাসী বলেন প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে স্কুলের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।