দিন ফিরছে লোদীর : মেয়র পদ হারাচ্ছেন আরিফ

Arif-and-Koyes-Ludiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র পদ হারাচ্ছেন। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সাময়ীকভাবে মেয়রের পদ হারাবেন। আদালতে চার্জ গঠনের পর পুরোপুরি মেয়র পদ চলে যাবে আরিফের কাছ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আইনজীবী বলেন, গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে হত্যার বিষয়টি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জসিট দাখিল করার পরপরই মেয়র আরিফকে গ্রেফতার করার বিধান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আদালতে হত্যা মামলার চার্জসিট দাখিল করার সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রেফতারী পরোয়ানা পর্যায়ে চলে যায়। তাই মেয়র আরিফকে গ্রেফতারে কোনো বাধা নেই।
গ্রেফতারের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মেয়র আরিফকে সাময়ীক বরখাস্ত করবে। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়ীত্ব পালন করবেন প্যানেল মেয়র কয়েস লোদী। আদালতে চার্জ গঠনের পর মেয়র আরিফ তার মেয়র পদ হারাবেন। তখন শূণ্য হয়ে যাবে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ। যখন মেয়র পদ শূণ্য হবে সেদিন থেকে তিন মাসের মধ্যে মেয়র পদের নির্বাচনও সম্পন্ন করতে হবে। প্রসঙ্গত: সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও মেয়র আরিফসহ ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার পঞ্চম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেরুন্নেসা পারুল হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র গোলাম কিবরিয়া গউস, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মওলানা তাজউদ্দিনের ভগ্নিপতি হাফেজ মো. ইয়াহিয়াসহ আবু বকর ওরফে করিম, দেলোয়ার হোসেন রিপন, শেখ ফরিদ, আবদুল জলিল ও মওলানা শেখ আবদুস সালামকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০০৫ সালের ১৯ মার্চ প্রথম দফায় ১০ জনের বিররুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দ্বিতীয় দফায় আসামির সংখ্যা ১৬ জন বাড়িয়ে ২০১১ সালের ২০ জুন ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় । এদের মধ্যে দুজন ভারতে মারা যান। এবার তৃতীয় দফায় আসামির সংখ্যা আরও নয়জন বাড়ানো হলো। সে হিসাবে এ মামলায় মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ-পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন জনপ্রিয় এই অর্থমন্ত্রী। এই নির্মম হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। হামলায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। মারাত্মক আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ-১ আসনের বতর্মান সাংসদ আবদুল মজিদ খান বাদি হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।